দুব্লা ঘাসের প্রাথমিক চিকিৎসা ও ব্যবহার



দূব্লা ঘাস গ্রামে গঞ্জে বহু আলোচিত একটি ঘাস যা আমাদের দেহের কাজে বিভিন্ন রকমের ঔষধি কাজে ব্যবহার  করে ।যেখানে সেখানে বাড়ির পাশে অথবা ধানের জমির  আলের উপরে বেড়ে উঠে এই ঘাস।ও
দুব্লা-ঘাসের-প্রাথমি-চিকিৎসা-ও-ব্যবহারসার বিহীন এই ঘাস যার উপকারিতা অনেক গুন  বেশী । ও অসাঘারন বলে বুঝানো অসম্ভব । এই দুব্লা ঘাসের ভিতরে রয়েছে নানা ধরনের  ঔষধি চিকিৎসা । স্বাস্থ্য শরীর সুস্থ্য রাখতে এই দুব্লা ঘাসের ব্যবহার অপরিসীম ।

সুচীপত্র 

  • দুব্লা ঘাসের বৈশিস্ট্য
  • দুব্লা ঘাসের প্রাথমিক চিকিৎসা
  • দুব্লা ঘাসের উপকারিতা
  • কি কি কারনে দুব্লা ঘাস ব্যবহার করা যাবে
  • দুব্লা ঘাসের কারনে সমস্যা ও সমাধান
  • দুব্লা ঘাস দিয়ে চুলের যত্ন
  • দুব্লা ঘাস দিয়ে হিন্দুদের পুজা 
  • দুব্লা ঘাস চেনার উপায়
  • দুব্লা ঘাস দিয়ে আমাশয় ভাল হয়
  • দুব্লা ঘাস দিয়ে রক্ত ক্ষরণ দূর করার উপায় 

দুব্লা ঘাসের বৈশিস্ট্য

দুব্লা ঘাস দেখতে অনেকটা লম্বা সাইজের ।সবুজ ধরনের হয়ে থাকে এই ঘাস খেলার মাঠ অথবা যে কোন ফাঁকা মাঠে বেশী দেখা যায়।ঘাস গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগে বিকেল বেলা সকল ছেলে মেয়েরা খেলা ধুলা  করতে খুব  পছন্দ করে ।আবার খুব ভোরবেলাই অনেক মানুষ ঘাসের উপর দিয়ে হাটলে অনেক রোগ থেকে উপকারে আসে ।এই ঘাস মোটামুটি সকলেই চেনেন।এই ঘাস ভোরবেলাতে বেশি তাজা দেখায় ।বিশেষ করে সকালবেলা  দেখতে বেশি  সুন্দর লাগে ।এই হগাস অনেকেই দুব্লা অথবা অনেকে অনেক নামে চেনেন

দুব্লা  ঘাসের  প্রাথমিক চিকিৎসা:

এই ঘাস দিয়ে মানুষ নানা রকমের  ঔষধি হিসাবে ব্যবহার করে আসছে । যার গুনাগুণ অনেক বেশী ।অনেক সময় ছোট বাচ্চারা মাঠে খেলা করতে যায় তখন খেলার ছলে হাত পা  কেটে যায়  তখন প্রাথমিক  চিকিৎসা হিসাবে দুব্লা ঘাসের পাতা যদি কাটা জায়গায়  চিবিয়ে ক্ষত জায়গায় দেওয়া জায় তাহলে তৎক্ষণাৎ রক্ত পরা বন্ধ হয়ে যাবে । আর ও অনেক  কাজে আসে ।নিম্নে সেগুলো ও  ব্যক্ষ্যা করা হবে ।দুব্লা ঘাস পুরাতন আমাশয় ভাল করে । পাইলস ও ভাল করে এই দুব্লার ঘাসের রস ।দুব্লার ঘাসের রসের ভিতরে গুনাগুন অনেক ।

দুব্লা ঘাসের উপকারিতা

দুব্লা ঘাসের উপকারিতা নিয়ে গবেষনায় দেখা গেছে যে এত বেশি কালসিয়াম,প্রটিন,এর উপকারিতা রয়েছে যে বলে শেষ করা  যাবে  না  মধু সংগে দুব্লার রস একসঙ্গে করে যদি ৩-৪ বার খান তাহলে দেখবেন প্রটিন ,ক্যালসিয়াম অনেক গুনে বেরে গেছে ।দুব্লার ঘাসে রক্ত পরা বন্ধ করে ম্যজিকের মত।দাতের ব্যথাই দুব্লার ভুমিকা অপরিসীম ।দাতের ব্যথাই যদি দিনে ৩-৪ বার দুব্লার রসের সঙ্গে

দুব্লা-ঘাসের -প্রাথমিক-চিকিৎসা-ও-ব্যবহার

কি কি কারনে দুব্লা ঘাস ব্যবহার করা যাবে

দুব্লা ঘাসের রস  দিয়ে অনেক রকমের  ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করা হয় ।অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় মেয়েদের অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে এই দুব্লাএর রসের সংগে মধু মিশিয়ে দিনে ৩-৪ চা চামুচ সেবন করলে ঋতুস্রাব ভাল উপকারে আসবে ।এই রসের সাহায্যে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রন এ রাখে।অনেক সময় মেয়েদের ঋতুস্রাব হলে বমি ভাব হয় ,সে ক্ষেত্রে এই দুব্লার রসে বমি ভাব কমায় ।কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে গরমের সময় অনেকের নাক দিয়ে রক্ত পরে সে ক্ষেত্রে এই দুব্লার রসের সঙ্গে যদি মধু অথবা চিনি মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার হবে ।

দুব্লা ঘাসের কারনে সমস্যা ও সমাধান

দুব্লা ঘাসের কারনে অনেকের সমস্যা ওসমাধান এ আসবে  ।যাদের এই রকম সমস্যাই ভুগছেন উপরের সমস্যা ও সমাধানের কথা বলা হয়েছে সে গুলো ফলো করলে অনেক সমস্যা দূর হবে। আমরা যারা আছি সহজেই হাতের কাছে বিনাপয়সায় সমাধান না খুজে আগে ডাক্তার এর কাছে নিয়ে যাই । তাই আগে ডাক্তার এর কাছে নিয়ে না গিয়ে বারিতে বসে সমাধান করার চেস্টা করুন যদি না হয় সেক্ষেত্রে নিয়ে যাবেন।অনেক সময় দেখা যায় পিত্ত থলির সমস্যা, কোষ্টকাঠিন্য সমস্যা,পাকস্থলির সমস্যা, ইত্যাদি আরও অনেক রোগের সমস্যা সমাধান 

দুব্লা ঘাসের রস দিয়ে চুলের যত্ন

দুব্লা ঘাসের রস দিয়ে চুলের যত্ন খুব দ্রুত চুল পরা বন্ধ হয় ।আসুন কিভাবে এর যত্ন করলে চুল পরা বন্ধ হবে দেখে আসি,আমাদের সমাজে নারীদের অধিকাংশই চুলের সমস্যাই ভুগছে ,প্রতিদিন মাথা থেকে কিছু না কিছু চুল ঝড়ে পরছে তাই নারীদের খুব দঃশ্চিন্তার কারন হয়ে দারিয়েছে।চুল পরা বন্ধে আসুন জেনে নেই কিভাবে যত্ন নিব।প্রথমে একটি পাত্রে কিছু দুব্লা ঘাসের রস নিবেন তার সঙ্গে পিয়াজের রস আর নারিকেল তেল দিয়ে ভাল করে একটু টগবগ করে বলগ তুলে ঠান্ডা করে একটি বতলে সংরক্ষণ করে রাখলে অনেক দিন পর্যন্ত ব্যবহার কতে পারবেন।

দুব্লা ঘাস দিয়ে হিন্দুদের পুজা

দুব্লা ঘাস দিয়ে হিন্দুদের পুজার কাজে লাগে ।দুব্লা ঘাস দিয়ে হিন্দুদের বিয়ে থেকে শুরু করে অন্নপ্রাশন হিন্দুদের পইতা,এই সকল কাজে লাগে ।দুব্লার ঘাস খুব ঠান্ডা প্রকৃতির তাই মাথা ঠান্ডা রাখতে এই হগাস ব্যবহার করা হয়।এই ঘাস যেমন ঠান্ডা তেমনি দেখতে ও খুব অপুরব।এই ঘাস শহর এলাকাতে ও দেখা যায়।দুব্লা ঘাস ব্যবহার করে অনেক উপকারে আসে।

দুব্লা ঘাস চেনার উপায়

দুব্লা ঘাস চেনার কিছু উপায় আছে ,দুব্লা ঘাস দেখতে অনেকটা লম্বা আকারের হয়ে থাকে ।এই ঘাস দেখতে সবুজ বর্ণের ।অন্যান্য  ঘাসের তুলনায় আকারে অনেকটা বর।দুব্লা ঘাস মুথা আকারে হয়ে থাকে।এই ঘাস পরে থাকা জমিতে বেশি হয়। অনেক সময় এই ঘাস তুলে নিয়ে এসে গরুকে খাবার দেওয়া হয়।শিশুদের নাগালের বাইরে ঘাস যদি বেশি হয় ,তাহলে স্প্রে করে ঘাস মেরে  ফেলা হয়।এই ঘাস মারার জন্য ১০ -১৫ দিন মাঠে ফেলে রাখা হয়।

দুব্লা ঘাস দিয়ে আমাশয় ভাল হয়

দুব্লা ঘাস দিয়ে আমাশয় ভাল করার আর ও । একটি উপায় হল দুব্লা ঘাসের রস ।এই রস চা চামুচের ৩-৪ চা চামুচ সঙ্গে পরিমাণ মত চিনি মিশিয়ে দিনে ৩বেলা সেবন করবেন । দীর্ঘ দিনের আমাশয় ভাল করার উপায় খুব দ্রুত কার্যকর হয় । যদি বলি হাতের কাছে দুব্লা ঘাস আমাশয় দূর হয়।

দুব্লা ঘাস দিয়ে রক্ত ক্ষরণ দূর করার উপায়

দুব্লা ঘাস দিয়ে রক্ত বন্ধ করার উপায় ম্যাজিকের মত কাজ করে।আসুন দেখে নেই কিভাবে রক্ত বন্ধ করা যায়।গ্রাম গঞ্জের বাচ্চারা খলা মাঠে খেলা ধুলা করার জন্য যায় ।খেলতে খেলতে অনেক সময় পরে গিয়ে  শরীরে যে কোন অংশ  কেটে যায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে দুব্লার ঘাস চিবিয়ে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দিলে অল্প কিছুক্ষন পর দেখা যাবে রক্ত বন্ধ হয়ে গেছে।

দুব্লা-ঘাসের -প্রাথমিক-চিকিৎসা-ও-ব্যবহার

উপসংহার:

উপরের কথাগুলো যদি আপনাদের ভাল লাগে তাহলে অবশ্যই কাজে লাগাবেন ।আর চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন ।আশা করছি মন্তব্য করতে ভুলবেন  না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url