শবে-বরাত সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা

শবে-বরাত সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা 

শবে বরাত হচ্ছে সাবান মাসের ১৪ তারিখে লাইলাতুল বরাত।যাকে আরবী ভাষায় বলে লাইলাতুল বারাত। অর্থাৎ শবে বরাত।শবে-বরাত বাংলা অর্থ মুক্তি পাওয়ার  রাত ।যাকে আমরা সাধারণত বলি সারা বছর যে






 পাপ করে এই সাবান মাসের ১৪ তারিখে অর্থাৎ শবে-বরাতের রাতের মধ্যে প্রহরে আল্লাহর কাছে চাওয়া মুক্তি পাওয়ার কিছু প্রার্থনা বিশ্বের মুসলিম দেশে শবে-বরাত শব্দটির সংগে অতি পরিচিত যা সাবানমাসে হয়।

সূচী পত্র ঃ শবে-বরাত সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা 


শবে-বরাতের ফজিলত সম্পর্কে জানা

হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে এ রাতের অনেক ফজিলত বর্ণীত হয়েছে। হযরত মু আয ইবনে জাবাল {রাঃ} বর্ণনা করেছেন,রাসুল {সাঃ} ইরশাদ করেন,শাবানের রাতে আল্লাহ পাক  তাঁর সকল সৃষ্টির প্রতি বিশেষ ভাবে দৃষ্টিপাত করেন এবং সমস্ত মানুষকে  ক্ষমা করে দেন।কিছু  মুশরিক এবং বিদ্বেষীদেরকে মাফ করেন না।{সহীহ ইবনে হিব্বান,কিতাবুস সুন্নাহ,মাওয়ারেদুযযিমান,শু আবুল ঈমান,মোজামুল  কবীর,মাযমাউজ জাওয়ায়েদ ইত্যাদি।}অন্য এক হাদিসে আছে,

হযরত আবু সালাবা {রাঃ} বর্ণনা করেন,রাসুলে কারীম  {সাঃ}ইরশাদ করেছেনঃ সাবানের ১৫ তারিখ রাতে আল্লাহ পাক বান্দাদের দিকে  দৃষ্টিপাত করে মুমিনদেরকে মাফ করে দেন এবং বিদ্বেষীদেরকে তাদের বিদ্বেষের  মধ্যে ছেড়ে দেন ।অর্থাৎ তাদেরকে মাফ করেন না যতক্ষণ না তারা বিদ্বেষ ত্যাগ করে দোয়া করে।{কিতাবুসসুন্নাহ,বায়হাকী সূ আবূল ঈমান, দূরুল মান ছুর}।

শবে-বরাতের  ইতিহাস নিয় কিছু কথা 

হাদিস শরীফে বর্ণীত আছে,হযরত আয়েশা সিদ্দিকা{ রা} বলেন, এক রাতে আমি রাসুল {সাঃ} কে আমার নিকটে না পেয়ে তার খোঁজে বের হলাম।জান্নাতুল বাকীতে তাঁকে পেলাম,তিনি বল্লেন ঃ হে আয়েশা ,তুমি কি এ আশংকা করছো, আল্লাহ এবং তার রাসুল তোমার প্রতি কোন অন্যায় করবেন ?

আমি বল্লাম,হে আল্লাহর রাসুল,আমার ধারনা হয়েছিল,আপনি হয়ত অন্য কোন স্ত্রীর কাছে গমন করেছেন? এরপর রাসুলে কারীম {সাঃ} ইরশাদ করেনঃ ১৫ সাবানের রাতে আল্লাহ পাক  দুনিয়ার নিকটবর্তী আসমানে অবতরন করেন এবনং বনু কালব গোত্রের লোকদের ছাগল পালের পশমের চেয়েও অধিক সংখ্যক লোককে ক্ষমা করে দেন।

শবে-বরাতের করনীয় আমোল নামা সমূহ

শবে-বরাতের আমোল নামা সম্পর্কে রাসুল {সাঃ} যখন  মধ্য সাবান আসবে ,তখন তোমরা রাত জেগে নামাজ আদায় করবীবং দিনে রোজা রাখবে।কেননা সূর্যাস্তের সাথে সাথে আল্লাহ তা আলা দুনিয়ার নিকটতম আসমানে অবতীর্ণ হন এবং বলে থাকেন কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছে কি,

যাকে আমি ক্ষমা করতে পারি কোন রিযিক প্রার্থনাকারী আছে কি,যাকে আমি রিযিক দেই এবং কোন বিপদ্গ্রস্থ্য আছে কি আমি বিপদ মুক্ত করি এভাবে ফজর পর্যন্ত ডাকতে থাকেন।

শবে-বরাতের রাতে কি কবর স্থানে যাওয়া যাবে ?

উপরোক্ত হাসীস থেকে  জানা গেল,রাসুল কারীম {সাঃ} রাতে মদীনার কবর স্থান জান্নাতুল বাকীতে  গমন করেছিলেন ।কাজেই কেউ যদি এ রাতে গবরস্থানে যায় এবং মৃত আত্মীয় স্বজন্দের জন্য দোয়া কর, , তাহলে মুস্তাহাব।তবে বিশ্বাস এবং আমোল কোন দিক দিয়েই এটাকে জরুরী মনে করা যাবে না ।

যেমন এ রাতে কবরস্থানে যাওয়াকে একান্ত জরুরী মনে করা,সফর করে দূরের কবরস্থান বা মাজারে যাওয়া অনেক লোক একত্রিত হয়ে মেলা বসানো,কবর বা মাজারে আলোকসজ্জা করা ইত্যাদি থেকে দূরে  থাকতে হবে মাওলানা মুফতী মহাম্মদ শফী {রহঃ}অত্যান্ত জরুরী কথা বলেছেন।তা হল ।.রাসুলে কারীম সাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম সমগ্র জীবনে একবার মাত্র শবে-বরাত কবরস্থানে গিয্যেছেন 

কাজেই জিবনে একবার গেলে এ মুস্তাহাব আদায় হয়ে যাবে ।প্রতি শবে-বরাতে কবরস্থান যাওয়া জরুরী মনে করলে এটা সীমা বহির্ভূত কাজ বলে গন্য হবে।

শবে-বরাতে হালুয়া রুটি বিতরন করা  যাবে?

শবে-বরাতে হালুয়া রুটি বিতরন করা বা খাওয়া এই গুলো শবে-বরাতের মধে পরে না ।কারন বাংলাদেশের মানুষ বেশীর ভাগই কালচার এ পরিনত হয়ে গেছে।আমরা সাধারণত জানি সাবানমাসের এই রাতটিকে   সৌভাগ্যের ফজিলত পূর্ণ রাত হিসেবে গন্য করা হয়

 

এই ডিজিটাল যুগের সঙ্গে হালুয়া রুটি বানানো যুক্ত হয়েছে। শবে-বরাত রাতে একমাত্র এবাদত করার রাত ।ভাগ্য পরিবর্তনের রাত মনে করতে হবে।এই সব হালুয়া রুটি গ্রাম অঞ্চলে বেশি করে ।অনেক জায়গাতে আলোক সজ্জা ও করে থাকে।শবে-বরাত  হছে একমাত্র সারা রাত এবাদত করার রাত।

 

শেষে আমি এক্তি কথা আপনাদের জন্য বলব বর্তমান সময়ে অনেক অনলাইন ওয়েবসাইড রয়েছে  আপনারা অনেকে দেখে নিবেন আসলে  সঠিক ভাবে জেনে পরবেন ,তবে মুসলমানদের জন্য ইবাদত করা,ভাগ্যকে পরিবর্তন করতে শেখায়।নিজের ভাগ্যক্র নিজেই পরিবর্তন করতে শিখুন।









এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url