মেয়েরা ঘরে বসে ছাদ কৃষি করে ইনকাম
ছাদ কৃষি করতে গেলে আগে সুবিধা গুলো কি সেগুলোর খেয়াল রাখতে হবে ,এখন শীতকাল তাই সহজেই ছাদে বসে কাজ করা যায়।এই শীতের সকালে গাছ পরিচর্যা করতে বেশ ভালোই লাগে ।গাছে পানি দেওয়া সকাল বেলা খুব প্রয়োজন
এই ছাদ কৃষি ঘরে বসে যে মেয়েরা সহজেই করতে পারে তার তুলোনা নেই
।অনেক সময় ছাদে এত গরম পরে কাজ করা যায় না ।বাজারে যে সাইজের সব্জী পাওয়া যায়
,তার চেয়ে ছাদে বেশ ভালো মানের সবজি চাষ করা যায়
সূচীপত্র: ১০টি উপায়ে ছাদ কৃষি করে ইনকাম
- টবের মাটি তৈরিতে ব্যাবহার করুন সবজীর খোসা
- কিভাবে ছাদে সকল সবজী ও ফল বাগান করতে হয়
- বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ করে ইনকাম
- বিভিন্ন ধরনের চারা গাছ তৈরীর প্রক্রিয়াকরন
- সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতি ও বিনা খরচে ছাদ বাগান
- ফেব্রুয়ারী মাসে কি কি শাক সবজি চাষ করবেন
- মাটি ছাড়াও হালকা ভাবে বাগান তৈরী করুন ছাদে
- কাঁচা তরকারী সব্জির ব্যাবসার আইডিয়া
- ছাদ কৃষি করার সহজ পদ্ধতি
- যে কনো গাছ লাগানোর মাটি তৈরীর প্রক্রিয়াকরন
টবের মাটি তৈরিতে ব্যাবহার করুন সবজির খোসা
বাগান করতে গিয়ে যে মাটি তৈরী করতে বিভিন্ন উপাদান গুলি লাগবে আমরা এই জিনিস গুলির রান্না ঘরে থাকা সঙ্গে পরিচিত। যেমন রান্না ঘরে বর্জ্য পদার্থ ,দিমের খোসা, বিভিন্ন রকমের সবজী কাটার খোসা ,পিয়াজের খোসা,ফলের খোসা,আম্রা বাঙ্গালীরা ব্যাবহার করে আসছি ২টো পদ্ধতির মাধ্যমে প্রথমত একটি ড্রামে পচিয়ে সেটাকে দ্রাস করে গুরা করে কিচেন কম্পস্ট হিসাবে গাছে ব্যাবহার করি,দ্বিতীয়ত এখান থেকে যে লিকুইট পাওয়া যায়,সেই লিকুইট পানির সঙ্গে মিশিয়ে গাছের গুরিতে ব্যাবহার করে আসছি।তবে আজকে আমি এই বর্জ্য পদার্থ গুলি পচাবনা আবার এখান থেকে লিকুইট কম্পোস্ট ও তৈরী করবোনা সরাসরী টবের মাটি তৈরির ক্ষেত্রে এই উপাদান গুলি ব্যাবহার করব
ব্যাবহার করার আগে যে বড় বড় টুকরা গুলো আছে,সেগুলোকে একটি কেচির মাধ্যমে কেটে ছোট করে টুকরো করে নিতে হবে ।ছোট করার কারন হলো এই উপাদাঙ্গুলো মাটির সঙ্গে মিশে যায়।এবং এক প্রকার জৈব কম্পোস্ট তৈরী হয়।তবে রান্নাঘরে যা কিছু আছে অর্থাৎ পিয়াজের খসা থেকে সুরু করে সব গুলো এক সঙ্গে করে মিশিয়ে নিয়ে ব্যাবহার করতে পারবেন বাগানের যে কোন পাতা রোদে সুকিয়ে নিয়ে গুড়া করে নিবেন একদম মিহি দানার মত করতে হবে যদি দান্ডি থাকে সেগুলো ফেলে দিবেন।
আরও পড়ুন:
জিম করার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
আর কিছু গবর নিবেন একটু শুকনা ধরনের হবে এটার সঙ্গে আগের যে সমস্ত জিনিস জৈব
কম্পোস্ট তৈরী করা হলো সেগুলোর সঙ্গে মাটি সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে ।এই মিস্রন টা
ভালো করে মিক্স করতে হবে।আর এই টবের জন্য আদ্যরস মাটি তৈরী করে নিলাম।আমাদের
বাড়িতে যে বালিমাটি থাকে এই মাটি সবার উপরে রেখে মিক্স করে দিতে হবে ।এই মাটির
মিক্স টা গাছের শিকর বৃদ্ধি করতে পারে
পানি নিস্কাশণের কাজ খুব দ্রুত
করবে ।এখন সরাসরী আমরা টবের মধ্যে গাছ লাগানোর জন্য তৈরী করব।টবের মধ্যে অল্প
পানি দিয়ে মাখা মাখা করে নিন ,একবার পানি দিয়ে সুকিয়ে গেলে আবার আরো একটু পানি
দিন এবং ভেজা ভেজা করে নিতে হবে এবং রেখে দিতে হবে ১০- ১২ দিন পর্যন্ত তারপর গাছ
লাগাবেন ।
কিভাবে ছাদে সকল সবজি ও ফল বাগান করতে হয়
ছাদ বাগান করতে ছাদের জায়গার পরিমান একটু বেশি হলে ভালো হয় ,বাড়ির ছাদ কিংবা ফুলে আলোকিত হয়ে আছে ,প্রত্যেকের ছাদ বাগান।হাজার হাজার মানুষ ছাদ বাগান করে আসছে ।যেমন, বাজারে যে সাইজের সবজি পাওয়া যায় সেই সাইজের সবজী কিন্তু ছাদে ও করা যায় আর এই ছোট ছোট জায়গায় সবজি চাষ করা অনেক গুনে ভালো লাগে নিজের হাতে লাগানো ও পরিচর্যা করা
বিভিন্ন রকমের সবজির বাগান নিজেরাই করে ইনকাম করছে অনেকে ,আবার অনেকে ব্যাবসা করার জন্য ছাদ কৃষি করে আসছে ,তবে ফল বাগান করলে সুবিধা বা লাভজনক বেশী ।কারন,ফল গাছ লাগালে সার লাগেনা আর সবজির বাগান করলে কিটনাশক সার দিতে হয় প্রায় সময় ।না দিলে বা যত্ন বা পরিচর্যা নিয়োমিত ভাবে না করলে সবজী ভালো হয় না ।
প্রাকৃতিক এই জৈব সার তৈরী করে বিভিন্ন রকমের কৃষই বাগান তৈরী করা খুব সহজ ।বেশির ভাগ টবে বেগুন,ফুল্কপি,কাচা মরিচ ,ঝিঙ্গা,সশা,লাউ,শিম মিস্টি কুমড়া ইত্যাদি সবজী বাগান করে ইনকাম করে। তবে বাজারের সবজী থেকে এই নিজের হাতে ছাদ সবজি চাষ করে যেমন শরীর ভালো রাখে ,সারবিহিন খাবার সকলেই খেতে চায়।
বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ করে ইনকাম
বাড়ির আঙ্গিনায় পরিত্যাক্ত জায়গায় সবজি চাষ করে ইনকাম করা খুব সহজ উপায় ।তাই এই পদ্ধতি অবলম্বন করে স্বাস্থ্য সম্মত সবজি করে খাওয়া অনেক গুনে ভালো ।আমরা বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন সময় উপচয় করি ।এই সময় কে কাজে লাগিয়ে বিষ মূক্ত এবং ফ্রেশ মুক্ত সবজীর বাগান ।পারিবারিক এই ফ্রেশ সবজির বাগান করে খেয়ে থাকি ।আমরা সাধারণতও চাই সার মুক্ত সবজি করে খাওয়া ,বাজারে যে সবজি গুলো আনা হয় দেখা যায় সবগুলো সবজি রান্না করলে সহজেই সিদ্ধ হতে চায় না, স্বাদ লাগেনা ইত্যাদি ।যদি আপনি একটু কস্ট করে যে আপনার বাড়ির আঙ্গিনায় পরে থাকা জমি কাজে লাগালে যেমন শরীর ভালো থাকবে বিভিন্ন রকমের অসুখ বিসুখ থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
আপনি যদি ভাবেন বাড়ির অল্প জায়গায় পেঁপে গাছ্মিস্টি কুম্রা,চাল কুম্রা আরো অনেক গাছ আছে যা ফ্রেশ সবজি ,ঝিংগা ধন্দুল ,তবে এই সকল জমি এক থেকে দের শতক জমির মধ্যে এই সকল সবজি আবাদ করে পরিবারের চাহিদা মেটানো সম্ভব।এই জমিতে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে নিন তারপর এটি চোড়া ১৮-১৯ ফিট হয়ে থাকে তাহলে ভালো আপনি সবজি পুস্টির বাগান করে উপকৃতও হবেন এখানে ৭-৮ টি বেড করবেন এই বেডটি করবেন উত্তর দক্ষিন মুখে । ,পূর্ব ও পশ্চিম একটি করে বেড থাকবে ।
এই বেড গুলোতে জৈব সাড় দিয়ে রেখে দিতে হবে এবং বছরে কি কি সব্জির গাছ লাগাবেন প্রথমে বেডে মূলা/ টমেটো,লালশাক/পুইশাক,দ্বিতীয় বেডে লালশাক/বেগুন লালশাক-ঢেরশ। তৃতীয় বেডে পালোং শাক/লালসাক ডাটাআ -লালশাক ।চতুর্থ বেদে বাতী সাক,পেঁয়াজ ,লালশাক,গাজর ,কলমি শাক ,পঞ্চম বেডে, বাঁধা কপি লালশাক ,করলা,লালশাক,প্রতি বভহরে আপনি এই সকল সবজি চাষ করে ভাহিদা মেটাতে পারেন।
বিভিন্ন ধরনের চারা গাছ তৈরীর প্রক্রিয়াকরন
প্রথমে একটি গামলা লাগবে।তারপর যে টব নিব সেই টবের ভিতরে কিছু ভারমি কম্পোস্ট নিয়ে গ্রিনফ্রেচ মিনিস্টর তারপর নিব ককোপিস্ট আর এর মধ্যে ডাইকোডারমা সামান্য পরিমান নিমখোল নিলে ভালো ।এবং পোকামাকড় এরানোর জন্য ।ককোপিট ভালো করে ধুইয়ে নিতে হবে ।কোন বীজ ভিজিয়ে না রাখা ভালো ।মিনিমাম ১ সপ্তাহ বীজ বাহিরে রাখা হইনি,তবে আজকের পর থেকে বাহিরে রেখে যাতে কনো রকম বীজ বাইরে রাখলে পানি লাগা যাবেনা ।এখানে ফাঙ্গিসাইট দিতে হবে আর একটি হলো ডাইকোডারমা ভিডিটি এই দুটোই ব্যাবহার করতে পারবেন এই বিষয়ে অনেক মানুষ চেস্টা করে কারন এখন অনলাইনের যুগ সকলেই বিভিন্ন রকমের ভিডিও দেখে চেস্টা করে থাকে
এই বীজ আরো পুরনো ঘুট ভিজানো পানি সরিষা ভিজানো পানি ,সরিসারখোল ভিজানো পানি একটু পাতলা করে নিয়ে ৫০ গ্রাম ১ লিটার পানিতে ভিজিয়ে সেই পানি আবার ২০ লিটার করে ভিজিয়ে নিয়ে ডাইলোট করে নিতে হবে ।ভালো করে পানি দিতে হবে ,পানির উপরে এই এই বীজ টা রেখে দিলে পানি চুষে নিবে এই ভাবে সকল বীজ করতে পারবেন।
সম্পূূর্ণ জৈব পদ্ধতি ও বিনা খরচে ছাদ বাগান
বিনা খরচে ছাদ বাগান করে কিভাবে দেখুন সম্পূর্ণ জৈব হবে বাগান নিজের চেস্টা না থাকলে এই রকম বাগান করা যায় ,এই বাগান করার ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা হয় গুল মরিচের গুড়া ,ছাই আর কিছু হলুদ গুড়া,চুলার ছাইয়ের সঙ্গে হলুদ গুড়া ও মরিচের গুড়া একসঙ্গে মিশিয়ে তারপর সবজি বাগানে ছিটিয়ে দিলে অন্ন কনো পকা মাকড় থাকেনা ।এটা ফাঙ্গাস হিসাবে কাজ করে অন্য কনো সার লাগেনা রোদ হলে এই সবজি বাগান খুব বেশি ফলন হয় ।এইভাবে যদি সবজি করা যায় তাহলে বাজারের সবজি কিনতে হবে না আর এই কিচেন কম্পওস্ট আর নিম খোল মাটির সঙ্গে চুন এই সকল মিশিয়ে নিতে হয় ।প্রচুর ফলোন হয় ।বছরের পর বছর ফল খেতে পারবেন।
ছাদে যেভাবে যে কনো গাছ লাগালে এবন এই পদ্ধতি অবলম্বন করবেন দেখবেন জৈব সার নিজে তৈরী করে কিভাবে মাসের পর মাস সকল ফল করা যায় ।নিজে বীজ করে লাগা যায় ।মেথি,পিয়াজ ,পালং শাক আরো অন্যান্য বীজ বুনে ফসল করা যায় ।এই ক্ষেত্রে নিম ডালের চারা দেওয়া ্যায়।
ফেব্রুয়ারি মাসে কি কি শাক সবজি চাষ করবেন
আপনারা যারা ভাবছেন ফেব্রুয়ারি মাসে সবজি চাষ করে এবং অল্প সময়ে কিভাবে সবজি চাষ করা যায় তাহলে চলুন দেখে আসি ,ফেব্রুয়ারি মাসে টমেটো চাষ করা যায় ,কারন এ সময় জমি অনেকে কট রেখে দেয় তাই টমেটোর ফলন করে ইনকাম করা যায়।যেহেতু আখনো হালকা শীত তাই ট্মেটোর পাশাপাশি পেপে লাগাতে পারেন,কেননা এই সময় উন্নত জাতের পেঁপের চারাগাছ লাগিয়ে নিতে পারেন ।বিভিন্ন রকমের পেঁপের চারা পাওয়া সেখানে থেকে চারা সংগ্রহ করে নিয়ে লাগালে সারা বছর পেঁপে ক্ষেতে পারবেন। এরপর লেবু ,লেবু আমাদের দেহের জন্য খুব উপকারি ।লেবু ভিটামিন সি হিসাবে কাজ করে ।আর এই লেবু কিন্তু মার্চ মাসে ফুল আসা সুরু হয়।তাই এসময় লেবু গাছ সংগ্রহ করে লাগাবেন।
এই সময় ঢেরস লাগেতে পারেন ,ঢেরস গাছ লাগিয়ে যখন ঝপ আকারে হবে তখন সব সাইডের যে বড় বড় পাতা হয় সেই পাতাগুলো কেটে ফেলতে হয় ।এই পাতা যেটা বয়স্ক হয় ,এরপর দেখবেন পরবর্তীতে অনেক পাতা হয়েছে ।এবং এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।,আবার এ সময় মিস্টি কুমড়ার চাড়া লাগাতে পারেন ।
মাটি ছাড়াও হালকা ভাবে বাগান তৈরী করুন ছাদে
মাটি চাড়া চাষ অর্থাৎ ফয়েল লেস ফারমিং ,বর্তমানে ধীরে ধীরে খুব ই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ,দিন দিন কঠিন হয়ে পরেছে।ভালো মাটি যোগার করা কঠিন হয়ে পরছে।তাই ।শহর এলাকায় তো মাটি পাওয়া যায় না ,মাটি কিনে নিতে হয় ।এ জন্য মাটি ছাড়া এই চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেয়ামাদের কাছে এইমাটি ছাড়া চাষ এখন অরগানিক,বিভিন্ন রকমের ট্রেতে বীজ গুলি এরকম ফ্রিডলিং , স্রিডলিং ট্রেতে চারমিনেড করা হবে ,ট্রেগুলি ককোপেট দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে সমান পরিমানে ককোপিট এবং ভারমি কম্পোস্ট মিশিয়ে এই বীজ থেকে চাড়া করার জন্য এই মিক্সচার টি তৈরী করা হয়েছে।
তারপরে পানি দিয়ে প্রতিদিন পানি দেওয়ার দরকার নেই কারন ককোপিট দেওয়ার কারনে ।আর এই পানি দেওয়াটা কম বেশি করা হলে বীজ নস্ট হয়ে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে.৪ দিন পর থেকে চাড়া বের হতে শুরু করেছে ।এখন এরা সেমিসেডেই থাকবে ।মোটামুটি ১০-১২ পর সবগুলো চাড়া বের হয়ে আসবে
কাঁচা তরকারী সবজি ব্যাবসার আইডিয়া
এই ক্যাঁচা তরকারীর ব্যাবসা করতে অল্প টাকাইনভেস্ট করলেই চলে আর অল্প সময়ের মধ্যে অনেক টাকা ইনকাম করা যায় ।তবে সব্জির ব্যাবসা অনেক লাভজনক ।তা ছারাও এই ব্যাবসায় বেশি টাকা ইনভেস্ট করা লাগে না ।আপনি স্বল্প পুজিতে এই ব্যাবসা করতে পারবেন ।আর অল্প বুদ্ধি খাটিয়ে এই ব্যাবসায় লাভ করতে পারবেন প্রতিদিন ।তাই আপনি এই ব্যাবসা অনায়াশে শুরু করতে পারবেন এটি দেশের একটি পন্য দেশে পাওয়া যায় ।সব্জির ব্যাবসা অনেকে অনেক ভাবে করে থাকেন ।এই ব্যাবসায় এক এক জন একেক রকম ভাবে করে থাকেন ।
প্রথমত সব্জির পায়কারী ব্যাবসা করে টাকা উপার্জন করতে পারেন ।তবে সব্জির পাইকারী ব্যাবসা করার জন্য কিছু সবজি পাইকারী দরে গ্রামে নিয়ে এসে ব্যাবসা করলে লাভজনক হবে বলে মনে হয় ।আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে কোন বাজার ঠিক করে ,সেই বাজারে পাইকারী দরে কিনে নিয়ে বিক্রি করলে লাভ হবে।
ছাদ কৃষি করার সহজ পদ্ধতি
শীতকালিন ছাদে সবজি চাষ করে বেশ লাভবান হওয়া যায় ।মাটিতে যে সব জিনিস মিশিয়ে ছাদ কৃষি করার সহজ পদ্ধতি একেবারেই সহজ ।আমাদের রান্নাঘরে যে সব ক্যাঁচা তরকারী কাটা হয় ,তারপর ডিম খাওয়া হয় ,এই সব তরকারীর খোসা এবং ডিমের খোসা ও মাটি এক সঙ্গে মিশিয়ে একটি জৈব সার তৈরী করইবনিতে হবে ।তারপর মাটি গুলোর সঙ্গে এই সার তৈরী করে দিতে হবে তবে গাছ লাগানোর বিভিন্ন রকমের টবের মধ্যে এই রকম করে চাড়া করে লাগালে আর কীটনাশক সার দিতে হবে না ,যদি গাছে পুকামাকড় এর আশঙ্গা থাকে তাহলে গুল মরিচের গুড়া ,হলুদ গুড়া ,আর সঙ্গে চুলার ছাই একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে গাছের মধ্যে ছিটিয়ে দিলে আর পকামাকড় হবে না ।
এই ছাদ বাগানে এইভাবে যত্ন নিলে সারা বছর পারিবারিকভাবে চাহিদা মিটাতে পারবেন।ছাদে সকল সবজি চাষ করা যায় ।এমন কি পেয়ারা,আপেল ,কম্লা লেবু,আম গাছ ,মোটামুটিভাবে স ধরনের গাছ হয় ।পেয়ারা গাছ বেশি ফলন হয় ,তারপর ক্যাঁচা মরিচ থোকা থোকা হয় ।
যে কোন গাছ লাগানোর মাটি তৈরীর প্রক্রিয়াকরন
একটাই সবার অভিযোগ থাকে বাজারে থেকে ভালো গাছ নিয়ে এলে সেই গাছ সেই গাছ অনেক সময় মারা যায় ।এর প্রধান কারন হচ্ছে মাটি গুলো আমরা ঠিক ঠাক ভাবে বানাতে পারি না কারন মাটি যদি ঠিক করে বানানো হয় তাহলে গাছ খুব সুন্দর ভাবে হবে ।আর মাটি যদি ঠিক ভাবে বানানো না হয় তাহলে গাছ দুর্বল হয়ে মরে যায় ।বা পরিচর্যা না হয় তাহলে গাছ মারা যেতে পারেএখন মাটি ভালো করে গুড়া করে নিতে হবে ,এবং মাটিগুলো চালতে হবে এখন ৮ ইঞ্চি পর্যন্ত নিতে এর সঙ্গে ২ টা টব নিয়ে গবর সার নিয়ে সুপার ফস্ফেট নিয়ে তারপর সাদা বালি নিতে হবে টবে গাছ লাগালে পানি নিস্কাস্নের ব্যাবস্থা করতে হবে ,মাটির সঙ্গে ভারমিক পোস্ট,নিম খোল,সিওকুচি,কাঠের ছাই ,হারগুড়া সরিশার খোল,এবং খড়ি মাটি,এই সকল জিনিস নিলে গাছের ক্যালসিয়াম, ও সহযোগিতা করবে।
এখন মাটি বানাতে হলে এই সকল একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে মাটি তৈরী করে নিয়ে সব ধরনের গাছ লাগাত্র পারবেন বাজার থেকে গাছ নিয়ে এসে লাগাবেন না ।টবে গাছ লাগানোর জন্য মাটি দিয়ে ১ -দের ইঞ্চি ফাকা রেখে গাছ লাগাবেন কারন পানি দিলে নিষ্কাশন থাকে ।এইভাবে গাছ লাগানোর প্রক্রিয়া করলে ফুল ও ফল তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠবে।
পরিশেষে সকলের উদ্যেশে বলব যে আপনাদের কে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেস্টা করেছি ,আশা করি আপনারা ও এইভাবে গাছের সব ধরনের প্রক্রিয়াকরন করার চেস্টা করে দেখবেন নিশ্চয় আপ্নারা সফল হতে পারবেন মনে করি ।যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আমাকে লাইক, কমেন্ট করবেন এবং পরিচিতদের মাঝে ছরিয়ে দিবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url