কমলার ছালের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা
কমলার ছালের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই ,আজ থেকে কোমলার খোসার উপকারিতা ১৫মিনিটেই উপচে পরবে ত্বকের যত্নে জেল্লা আশ্চর্যজনক উপকারিতা।আসলে অবাক হয়ে যাবেন।
কমলা লেবুর খোসায় রয়েছে ,আন্টি মাইকোবিরাল,আন্টি ইনফ্লামাটরি ,আন্টি ফাঙ্গাল উপাদান,ভিটামিন সি ত্বকের ও ব্রনের বিরুদ্ধে কাজ করে ও সমস্যা দূর করে এ ছাড়া ত্বককে মসৃণ ও নরম করতে সাহায্য করে এই কমলার খোসার তুলনা নেই একটি গোটা কমলার খোসা ১ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে নিয়ে এবার এটিকে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে মুখ ধোঁয়ার কাজে ব্যবহার করুন
সূচী পত্রঃ কমলার ছালের উপকারিতা সম্পর্কে ১০টি ত্বথ্য
- কমলার ছালের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা
- কমলার খোসার ফেস প্যাক বানানো নিয়োম
- উজ্জলতা বূ্দধিকারি জাদুকরী কমলার খোসা
- কমলার খোসার সিরাম বানানোর নিয়োম
- কমলালেবুর রস মুখে দিলে ব্রন ভালো হবে কি?
- ত্বকের যত্নে কমলালেবুর খোসার ব্যবহার
- হাত ও পায়ের যত্নে কমলার রসের উপকারিতা
- কমলার ১০ টি উপায়ে চর্চা
কমলার ছালের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা
- কোমলার খোসার উপকারিতা জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন,তাহলে চলুন দেখে আসি ।
- ক্যান্সারের ঝুকি কমায়
- গ্যাসের সমস্যা কমায়
- রক্তে শর্করার বৃদ্ধি কমায়
- খারাপ কোলেস্টেরল কমায়
- হজম ক্রিয়া ভালো রাখে দূর করে ।
- ত্বকের সৌন্দরয্য বৃদ্ধি করে
- হাঁপানি রোগ নিরাময় করে
- এ্যালারজি সমস্যা দূর করে
হার্ট কে ভালো রাখার জন্য এই কমলার খোসা খুব ই উপকার করে।খুব সহজেই ত্বক ফর্সা করে ,ত্বক উজ্জ্বল করে অনেকে খালি পেটে এই কমলার রস খেলে পেটের সকল সমস্যা দূর করে এটি স্কিনের সমস্যা দূর করে ।এই কোমলার খোসা যদি দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে ফেঁসে দেওয়া হয় তাহলে নুখের উজ্জলতা বেড়ে যায়।
শীতকালিন মানেই তো কমলালেবু ,কমলালেবু মানেই ত্বক সজীব নিয়ে আসা,ত্বক রাখে কমল ও নরম।কমলালেবু সুধু কি খাবার হিসাবে ব্যবহার করব নাকি ফেলে দিব রোজ যে কমলালেবু খাচ্ছ তার খোসাটাকে রেখে দিতে পার ,সেই খোসাটাও কিন্তু অনেক কাজে লাগবে।তাই আজকে আমার কাজ হলো এই খোসা আমাদের ত্বক ও রূপ চর্চায় সাহায্য করে ।
কমলার খোসার ফেস প্যাক বানানোর নিয়োম
শীতকাল এসে যাওয়া মানে কমলালেবু বাজারে ছরাছরি।তবে এটাও থিক কনলালেবু তো ছরাছরি কিন্তু কমলালেবু তো শেষের দিকে তবে পাবে কি করে যদি একটা বা দূ টো করে কিনে সেই কমলালেবুর কোয়াগুলো খেয়ে অথবা তার ছাল যদি ফেলে না দেই ,এই কমলালেবুর ছাল দিয়ে ত্বকের যত্নে ভীষণ ভাবে উপকারে আসে ।
কমলালেবুর ছাল শুকিয়ে যদি ব্লেন্ডারে গুড়া করা করে রাখা হয় তাহলে সারা বছর সংরক্ষন করে রেখে ব্যবহার করা যায় ত্বক পরিচর্যার ক্ষেত্রে। ২ টি উপায়ে কমলালেবুর খোসা সঙ্গে লাগবে টক দই ,আর কাঠ বাদাম গূরো ।এইটার মধ্যে আছে ভিটামিন ই,ভিটামিন ই যদি খাই তাহলে ত্বকের ভিতর থেকে নরম হয়,আর ব্যবহার করলে
,তার নিয়োম হলো ১ চা চামুচ টক দইএর সঙ্গে ২ -৩ টি কাঠ বাদাম আর কমলার ছালের গুরা১ চা চামুচ নিয়ে পেস্ট করে মুখের মধ্যে রেখে কিছুক্ষন রাখা যায় ,এক্তাতু মেসেজ করে নিবে তাহলে দেখবে মুখ কত উজ্জ্বল দেখাবে। আর যদি দুধের সঙ্গে অর্থাৎ কাঁচা দুধ ফ্রিজে রাখলে যে উপরে আবরন হয় সেই দুধ কিছুটা স্বরের মত দেখায় সেই স্বর যদি কমলালেবুর খোসার পাউডার সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে শুকানা পর্যন্ত রেখে ধুয়ে ফেলে দাও দেখবে ম্যাজিকের মতো মুখ হয়ে গেছে।
উজ্জলতা বৃদ্ধিকারী জাদুকরী কমলার খোসা
কমলা ভালো করে ধুওয়ে নিবেনআগে কোমলা জুস করে নিয়ে একটা বাটিতে নিবেন তারপর কটোন তুলা অথবা কটোণ প্যাড দিয়ে ভালোকরে মুখে লাগিয়ে নিন তারপর মুখ শুকিয়ে আসলে পরিস্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন দেখুন ক্লিন জারের কাজ করছে ।তবে মুখ না ধুয়ে ২য় স্টেপ এ যাওয়া যাবে
আপনারা চাইলে গলা কান হাত ও পা সব জায়গায় দিতে পারবেন ,২য় স্টেপে কোমলার খোসা ভালো করে মিহি করে বেটে সঙ্গে চিনি ও সুজি দিতে পারেন না চাইলে সুজি নাও দিতে পারেন,এই সব একসঙ্গে করে মুখে লাগিয়ে সুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন সুকিয়ে গেলে পরিস্কার প্পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ।যদি মুখে দাগ থাকে ,অথবা ব্রন থাকে তাহলে এই সকল কমলার খোসার ব্যবহার করে দেখতে পারেন ।
এই কমলার স্ক্রাব বানিয়ে শুধু যে একটা কাজ হবে তা কিন্তু নয় ,এটার উপকারিতা অনেক পুরনো পৃগ্মেন্টেশন দূর করতে সাহায্য করে।আর এর ক্ষেত্রে স্টিম করতে হবে অল্প কুসুম গরম পানিতে একটি নরম কাপড় অথবা টাউয়েল গরম পানিতে ভিজিয়ে নিবেন আর হাল্কা ভাবে মুখে স্যাক দিবেন তাহলে স্টিম এর কাজ হয়ে যাবে।এখন ফাইনাল স্টেপ এর ক্ষেত্রে ফেস প্যাক বানাতে হবে ফেস প্যাক বানাতে লাগবে ,পরিমান মতো কোমলার খোসা বাটা, আর সঙ্গে ফ্রেস হলুদ গুরা,যদি গাছের কাঁচা হলুদ হয় ভালো হয় না থাকলে রান্না করা হলুদ দিয়ে ফেস প্যাক বানিয়ে মুখে লাগাচা।
কমলার খোসার সিরাম বানানোর নিয়োম
কোমলার খোসার সিরাম বানাতে গেলে ,লাগবে একটি কমলালেবু, ,এই কমলালেবু একটু কুসুম গরম পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে তুলে নিবেন।এই সিরাম এর নাম ভিটামিন সি সিরাম।এটা বানাতে খরচ হইয়না বললেই চলে আমার ত্বকের সমস্যা দূর করে ।তবে এই ভিটামিন সিরাম বানাতে লাগবে ৪-৫ টি এ ক্যাপ্সুল যে কনো ঔসধের দোকানে পাওয়া যায়।
এটার সঙ্গে মিশাবে ১ চা চামুচ গ্লিসারিনার ২ চামুচ গোলাপজল দিবে আর ২ চামুচ এ্যালভেরা জেল এই সব জিনিষগুলোকে এক সঙ্গে ব্লেন্ডারে মিশিয়ে নিতে হবে যে কনো একটা বোতল অথবা শিশিতে ভোরে ফ্রিজে সংরক্ষন করে অনেকদিন ব্যবহার করতে পারেন। এই সিরাম ব্যবহারে যদি আপনার মুখে ড্রাগ সার্কেল থাকে ,বা অন্য কনো দাগ থাকে তাহলে এই সিরামে কাজ করবে ।আর স্কিন অনেক বেশি গ্লো করবে মেখে দেখুন দাগ ছোপ দূর করবে।
কমলালেবুর রস মুখে দিলে ব্রন ভালো হবে কি?
ত্বকের রূপচর্চায় লেবু খুব উপকারী ।সুধু জানলেই তো চলবেনা,তার সঙ্গে জানতে হবে ত্বকের যত্নে কাজে লাগে আজকে আমি সেটাই আপনাদের কে জানাতে চাই ,যে লেবু ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করার পর যদি খালি পেটে লেবুর সঙ্গে ১ চামুচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রোদে জাবেন না ছায়ার ভিতরে শুকিয়ে ধুওয়ে ফেলুন তারপর মুখ দেখুন খুব কমল ও সুন্দর হবে ।
মধু কিন্তু আমাদের ত্বকে খুব কাজ করে ,অনেকে কিনতু তৈলাক্ত ত্বকে ঠিক রাখতে এই মধু অনেক কাজ করে থাকে ।কিভাবে ব্যবহার করবে জেনে নেই,ঐ একই ভাবে একই পদ্ধতীতে দুটোকে এক সঙ্গে ও সশা মিশাতে পারেন দারুন কাজ করবে হালকা মাসেজ করে নিবেন ।এবং দুধের স্বর এর সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকের যত্ন করুন।এইসব কিছু স্ক্রাবের কাজ করে থাকে।
অনেক সময় দেখা যায় শরীরে যদি ইনফেকশন থাকে অথবা র্যাশ থেকে থাকে তাহলে কিন্তু এই লেবুর রস দূর করতে সাহায্য করে।এই পদ্ধতী গুলো অবলম্বন করে দেখুন ফল পাবেন।লেবু কিন্তু খুশকী দূর করতে সাহায্য করে এই লেবু,চুলের মাসের ভিতরে লাগিয়ে কিছুক্ষন লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন দেখবেন কাজ করবে ।
ত্বকের যত্নে কমলালেবুর খোসার ব্যবহার
রূপচর্চায় লেবুর ব্যবহার দারুন ভাবে কাজ করে থাকে। রূপচর্চা ও ্সৌন্দরয্য বৃদ্ধিতে কমলালেবুর উপকারিতা ভীষণ ভাবে কাজ করে।সশার রস ৩ টেবিল চামুচ কমলালেবুর রস ১ টেবিল চামুচ নিবেন ।ব্যবহার পদ্ধতী ঃসশার রস এবং লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন,এবার মিশ্রন্টি মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট।
কিছুক্ষন মিশ্রন্টি মুখে লাগিয়ে রাখুন এরপর পরিস্কার পানি দিয়ে ধুওয়ে ফেলুন, মুখে কনো প্রকার সাবান লাগাবেন না ।সপ্তাহে অথবা রোজ ব্যবহার করতে পারেন।এটি ব্যবহারের ফলে ত্বক দাগ হীন হয়ে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।তবে এক সপ্তাহে ফলাফল বুঝতে পারবেন।
কিভাবে এটি ত্বকের সাহায্য করে,সশার মধ্যে থাকা এ্যান্টি অক্সিডেন্টুপাদান ত্বকের নির্জীবতা স্রিয়ে ত্বক কে ভীতর থেকে উজ্জলতা প্রদান করে।সশা সবচেয়ে টনারের কাজ করে থাকে ।গরমের দিনে বাইরে থেকে বেরিয়ে এসে সশার রস লাগিয়ে নিলে বাইরের ক্লান্তি দূর করে।
হাত ও পায়ের যত্নে কমলার রসের উপকারিতা
হাত ও পায়ের যত্নে এই কমলার রস দারুন ভাবে কাজ করে।এর সঙ্গে কফি ভালো কাজ করে সুধু হাত ও পা ফর্সা করার নিয়োম ঃ শীতে আমাদের পা প্রচন্ড ফেটে যায় কিন্তু আমরা সহজেই পরিস্কার করতে পারি না এ ছাড়াও পায়ের নখে ময়লা জমে কালো হয়ে যায় ।পা আমাদের সপ্তাহে একবার হলেও পরিস্কার করা দরকার।বাড়িতেও ঘরোয়া উপায়ে কিন্তু পরিস্কার করা যায় ,সুধু যে পার্লারে গিয়ে পরিস্কার করা যায় তা কিন্তু না ।
কিছু পরিমান মতো চাল গুরা সঙ্গে ১ টাকার ১টি যে কনো শ্যাম্পু এবং হাফ লেবুর রস নিয়ে এই লেবুর মধ্যে আন্টি সেপ্টিক প্রোপার্টি থাকে যা এ ছাড়াও ভিটামিন সি আছে ।এই ভিটামিন ব্লিচের কাজ করে থাকে ।আর পায়ের যদি ফাঙ্গাল ইনফেকশন থাকে তাহলে এই ব্লিচে কাজ করবে ।আর এই ৩ টি জিনিস্কে এক সঙ্গে করে নিয়ে পেস্ট বানিয়ে পায়ে লাগাবেন সুকিয়ে গেলে পরিস্কার পানি দিয়ে ধুওয়ে ফেলুন তারপর দেখেন কতখানি পা চকচক করছে।
কমলার ১০টি উপায়ে ঘরোয়া চর্চা
- কমলালেবু খাওয়ার ১০ টি উপায়
- খাবার রুচী বৃদ্ধি করে
- শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে
- কৃমি দূর করতে উপকারি
- ক্লান্তি দূর কতে উপকারি
- ভিটামিন সি এর চাহিদা মেটায়
- শরীরের চর্বি কমাতে উপকারি
- শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে
- চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
- ত্বক সুন্দর করে
- কিডনির পাথর প্রতিরোধে সাহায্য করে।
চামড়ার বলি রেখা ও বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে ,এই সব জিনিস ।নিয়োমিত ভাবে এই গুলো ব্যবহার করে দেখুন দারুন কাজ দিবে শরীর বাচাতে অথবা এই সব সমস্যা দূর করার জন্য এই গুলো মেনে চলেবেন।নিয়োমিতভাবে এই কোমলার রসের উপকারিতা উপরের যে ১০ টি উপায় যে আলাদা আলাদা বাবে কাজ করে থাকে
পরিশেষে যে ত্বথ্য দিয়েছি সবগুলো ভালো করে পরে নিবেন এবং দেখবেন আপনাদের কে বুঝানোর চেস্টা করেছি সঠিক ত্বথ্য দেওয়ার জন্য ,যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে ,তাহলে আমাকে মন্তব্য করবেন আমি ডিটালস লিখার চেস্টা করেছি ।ভালো লাগ্লে কমেন্ট,শেয়ার করে সকলের মধ্যে জানিয়ে দিবেন ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url