পড়াশুনায় মন বসানোর ১০টি টিপস
পড়াশোনায় অনেক সময় শোনো খুব কঠিন হতে পারে যেমন কিছু কৌশল অবলম্বন করলে
পড়াশোনায় মন বসাতে পারবেন পড়াশোনা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দৈনন্দিন একটি রুটিন
,পড়াশুনায় শান্ত জায়গার প্রয়োজন ।
আজকে দশটি টিপস সম্পর্কে আলোচনা করব। প্রতিদিন আধঘন্টা ঘুম নিশ্চিত করুন
ভালো ঘুম আপনার মনোযোগ বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। আপনার পড়ার রুম পরিষ্কার
পরিচ্ছন্ন গোছানো রাখুন।
পোস্ট সূচিপত্র :পড়াশোনায় মন বসানোর দশটি টিপস
পাঠ্য সূচী তৈরী করুন
যখন বসবেন মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না । যেকোনো মূল্যে অনলাইন আসক্তি
কমাতে হবে। পড়তে বসার আগে সকল প্রকার সামাজিক মাধ্যম থেকে লক আউট করে ফেলুন
নিজের লক্ষ্য ফেলুন এটা আপনাকে ভালোভাবে না করতে উৎসাহিত করবে।
ধরেন আপনি সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে পড়াশোনা করবেন তো সেইটা আগে থেকেই রাতের বেলা
ঠিক করে রাখবেন এবং পাঠ্যসূচি করে রাখবেন যে পরের দিন সকালে উঠে আপনি ঠিক কোন
সাবজেক্টটি পড়বেন।
বিরতি নিন ও অপেক্ষা করে আবার পড়তে বসুন
সবকিছুরই বিরতি দরকার। অতিরিক্ত পড়াশোনা যেমন মাথায় প্রেসার ফেলে তেমনি একটু
বিরতি নিয়ে মাঝে মাঝে থেমে থেমে পড়াশোনা করলে খুব ভালোভাবে পড়াশোনাটা হয়ে
যায়। সব সময় বেশি চাপ নেওয়া যাবে না এতে করে আপনি যেটুকু পড়বেন সেইটুকু ভুলে
যাবেন।তাই সব সময় বিরতি নিন অপেক্ষা করে আবার কিছুক্ষণ পর পড়তে বসুন।এতে করে
যেমন আপনার মাইন্ড সেটআপ হবে তেমনি পড়াশোনায় মনোযোগী হয়ে যাবেন।
শান্ত জায়গায় পড়ুন
পড়াশোনা করার জন্য সব থেকে ভালো জায়গা হয় একটি নিরিবিলি জায়গা। আপনি যদি এখন
একটা হইচই পণ্য জায়গায় পড়াশোনা করেন তাহলে কিন্তু কিছুতেই পড়াশোনা মাথায়
ঢুকবে না। যার জন্য পড়াশোনা করার জন্য সব সময় নিরিবিলি ও শান্ত জায়গা খুঁজুন
এতে যেমন খুব অল্প সময়ে আপনি পড়াটা মাথার মধ্যে এবজর্ভ করতে পারবেন তেমনি খুব
কঠিন জিনিসও খুব সহজে সল্ভ করতে পারবেন।
বিপরীত দিকে চিন্তা করবেন না
বিপরীত দিকে বলতে বোঝানো হয়েছে ধরেন আপনি এখন পড়তে বসেছেন আপনার আশেপাশে সাইডে
কে কি বলছে বা করছে সেগুলোতে যদি মনোযোগ দেন বা সেগুলো বিষয় নিয়ে যদি চিন্তা
করেন তাহলে কিন্তু কখনই আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন না বা পড়াশোনা
ঠিকভাবে করতে পারবেন না।
পড়াশোনার মধ্যে সবথেকে বেশি যে জিনিসটা কার্যকর তাহলে মনোযোগ। সবকিছুতেই এবং সব
কাজেই মনোযোগটা সবার আগে প্রয়োজন। আপনি যদি মনোযোগ দিয়েসেগুলো না
শুনে কোন পড়া শেষ না করতে পারেন তাহলে কখনোই সেই পড়াটা আপনার ব্রেনে
থাকবে না তাই বিপরীত দিকে এবং আপনার আশেপাশে কি ঘটছে সেগুলো না শুনে আপনি আপনার
পড়াশোনায় প্রকাশ করুন।
গভীর শ্বাস নিন ধীরে ধীরে পড়ুন
তাড়াহুড়া কোন কিছুই ভালো নাই পড়াশোনার মধ্যে তো তাড়াহুড়ার কোন কথাই আসে না।
তাড়াহুড়া করলে আপনার ভিতরে এক ধরনের অস্থিরতা কাজ করবে যা আপনাকে মানসিক
অশান্তিতে ভোগাবে। শুধু যে পড়াশোনাতেই তাড়াহুড়া তা নয় কোন কাজেও তাড়াহুড়া
না করে দীর্ঘ একটা শ্বাস নিয়ে ধীরে ধীরে করা উত্তম।
ধরেন আপনার এখন পড়তে ইচ্ছে করছে না বা পড়াশোনায় মনোযোগ বসছে না সে
ক্ষেত্রে আপনি কি করবেন এমন প্রশ্ন আপনার মনে জাগতেই পারে তখন আপনি যেটা করবেন
গভীর একটা শ্বাস নেবেন এবং এই আপনি যে পড়াটা পড়তে চাচ্ছেন সেটি ধীরে ধীরে
পড়বেন দেখবেন খুব সহজেই আপনার পড়াশোনায় মনোযোগ বসে যাচ্ছে।
লক্ষ্য স্থির করুন
অনেক ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক লক্ষ্যই থাকে। কেউবা হতে চায় ডাক্তার কেউবা আবার হতে
চাই ইঞ্জিনিয়ার কেউবা আবার হতে চাই ম্যাজিস্ট্রেট ইত্যাদি এমন লক্ষ্য থাকা জীবনে
অনেক প্রয়োজন এতে করে আপনার যেটা হবে আপনি খুব সহজেই আপনার পড়াশোনাটা কি প্রকাশ
করে এবং সেই লক্ষ্যকে স্থির করে সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন।
স্বপ্ন দেখা ভালো তবে অনেক পরিশ্রমই হইতে হবে সফলতা অর্জন করা সম্ভব। এবং
সব থেকে বেশি যেটা জরুরী নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রাখা যেমন আমি এটা পারবোই আমাকে
পারতেই হবে ইত্যাদি এমন।
ফোন বা প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকুন
ডিজিটাল বাংলাদেশের এই যুগে এসে ডিজিটাল প্রযুক্তি যেমন আমাদের জীবনে অনেক ভালো
একটা প্রভাব ফেলছে ঠিক তেমনি কিছু কিছু দিক দিয়ে খারাপ প্রভাবও ফেলছে। যেমন ধরেন
আপনি আমাদের ঘরে ঘরে এখন নেট রয়েছে স্মার্ট ফোন রয়েছে এখন ছোট ছোট বাচ্চারাও
স্মার্টফোনে আসক্ত যা তাদের ব্রেন কে নষ্ট করে দেওয়ার পাশাপাশি তাদের পড়াশোনাও
নষ্ট করে দিচ্ছে। পড়াশোনা যখন করবেন তখন অবশ্যই ফোনটাকে ভালো কাজে লাগাবেন। যখন
আপনার ফোনে কোন কাজ থাকবে না বা পড়াশোনা থাকবে না তখন ফোনটাকে আপনার থেকে দূরে
রাখি রেখে আপনি আপনার টেবিলে পড়তে বসবেন তবে অবশ্যই টেবিলে বসেই পড়তে হবে তাহলে
পড়াশোনা মনে থাকে।
স্বাস্থ্য কর খাবার খান
তিন ঘন্টা অন্তর কলা খান গ্যাসের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন। রোজ একটি
আপেল খান ডাক্তার থেকে মুক্তি পাবেন। আর দুর্বল হলে কলা খাবেন ত্বকের উজ্জ্বলতা
বাড়াতে লাউ খান। হাড় শক্ত রাখতে টমেটো খান এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে কালোজিরা
খান চর্বি কমানোর খাবার তরমুজ জব পেপারমেন্ট মটরশুটি শসা আর পানি
বিশ্বের পুষ্টিকর খাবার পালং শাক সকালের নাস্তায় ব্যস্ত কর খাবার আপেল
কমলা আঙ্গুর ইত্যাদি ধরনের ফলমূল মৌসুমী ফলমূল দিয়ে নাস্তা করা সব চাইতে ভালো।
ওটস জিনিসটা খেতে ভালো না লাগলেও আমাদের দেহের জন্য অনেক ভালো একটি খাবার রয়েছে
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রাতে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওটসের জুরি
নেই।
মানসিক অবস্থা বুঝে পড়ুন
মানসিক চাপ অনেক ক্ষেত্রেই থাকে এই মানসিক চাপ থেকে অনেক বড় ক্ষতির দিকে
নিয়ে যেতে পারে। আপনার শরীরের অতিরিক্ত টেনশনের জন্য ব্রেনের সমস্যা দেখা
দিতে পারে । ব্রিথিং দিনে দুইবার এবং বসে করলে ভালো ফলাফল পাওয়া
যাবে। অনেক সময় মানুষ বলে জ্বিন পরির আচর লেগেছে কিন্তু আসলে সেটা
নয় তার সমস্যা কারণ হচ্ছে ব্রেনের।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে যে এমআরআই টেস্ট করে ব্রেনের ক্ষতিটা কি তা
বুজতে পারা যায় কোন কোন ক্ষেত্রে ব্রেনে মেটাবলিজম বেড়ে যায়। এবং
পরীক্ষা করেও প্রমাণ পাওয়া গেছে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url