বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ২০২৫



বাংলাদেশ, ২০২৫ সালে দর্শনীয় স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা বেশ আকর্ষণীয় হতে পার্‌ কারণ দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। ঐতিহাসিক স্থান এবং সাংস্কৃতি গুরুত্ব। ভ্রমণ করলে মানুষের মন ও শরীর ভালো থাকে।

বাংলাদেশের-দর্শনীয়-স্থান-ভ্রমণের-অভিজ্ঞতা-২০২৫



 প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে এখানে কিছু দর্শনীয় জনপ্রিয় স্থান নিয়ে আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা কেমন হতে পারে তা নিম্নে তুলে ধরলাম। আপনাদের সামনে নিম্নে চারটি টপিক নিয়ে আলোচনা করা হলো যা আকর্ষণীয় স্থানগুলো।


পোস্ট সূচিপত্রঃ বাংলাদেশের দর্শনের স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ২০২৫ ৭টি


সুন্দরবন একটি বৃহত্তম বিখ্যাত ম্যানগ্রোড বন


সুন্দরবন বাংলাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত এবং বৃহত্তম ম্যানগ্রোড বন, যা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোড বন এবং ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃত। বাংলাদেশের খুলনা্‌ বাগেরহাট সাতক্ষীরা জেলার অংশ হিসেবে বিস্তৃত, তবে এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ও ছড়িয়ে রয়েছে।

, সুন্দরবনের বিশেষ আকর্ষণ হল এর বন্যপ্রাণী। বিশেষ করে রয়েল বেঙ্গল টাইগার এছাড়া এখানে রয়েছে নানা প্রজাতির পাখি্‌ মাছ জ্বলন্ত। প্রাণী এবং উদ্ভিদের সমৃদ্ধ সংগ্রহ এখানে ভ্রমণ করলে আপনি ট্রলার বা নৌকায় চড়ে বনের মধ্যে প্রবাহিত নদী এবং, খাল গুলোতে নৌ ভ্রমন করতে পারবে্‌ যা এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা দেয়।

ভ্রমণের জন্য সুন্দরবন বেশিরভাগ পর্যটকদের আকর্ষণ করে এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য,। বন্যপ্রাণী দেখায় এবং শান্ত পরিবেশের জন্য আপনি বিভিন্ন ট্রাকিং রুট্‌ খাল পথে নৌকা ভ্রমন এবং সাফারি করে বিশেষভাবে রয়েল বেঙ্গল টাইগার সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী দেখতে পারবেন।

 সুন্দর বন পরিদর্শন করতে গেলে আপনার কিছু বিশেষ সতর্কতা নেওয়া উচিত যেমন বন্যপ্রাণী থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্থানীয় গাইড বা ট্যুর অপারেটরের সঙ্গে ভ্রমণ করা উচিত।

কক্সবাজার একটি জনপ্রিয় পর্যটন সম্পর্কে জানুন


 দর্শনীয় স্থান হিসেবে বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য এবং পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সৈকতের জন্য বিখ্যাত।। এটি দক্ষিণ অঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র তট রয়েছে। যা বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ অবিচ্ছিন্ন সমুদ্র সৈকত হিসেবে পরিচিত।

কক্সবাজার, প্রধান আকর্ষণ হল তার বিস্তীর্ণ এবং মনমুগ্ধকর সমুদ্র সৈকতের দৃশ্য এবং সূর্যাস্তের বিশেষভাবে আকর্ষণীয় যেখানে পর্যটকরা সাঁতার কাটতে সান বাথ নিতে, এবং নৌকার বহন করতে পারেন।। সৈকতের দৃশ্য এবং সূর্যাস্ত বিশেষভাবে আকর্ষণীয়, এছাড়া কক্সবাজারে রয়েছে অনেক দর্শনীয় স্থান। সেগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো।

ইনানী সৈকতঃ কক্সবাজার শহর থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত, এটি একটি শান্ত এবং সুন্দর সৈক্‌ যেখানে অনেক পাথর এবং স্বচ্ছ জল রয়েছে।

হিমছড়িঃ, এটি একটি পাহাড়ি এলাকা যেখানে ঝর্ণা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রয়েছে। পর্যটকরা এখানে ট্র্যাকিং এবং পিকনিক করতে আসেন।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতঃ। এটি প্রধান সৈকত যেখানে সবাই সমুদ্রের মাঝে সময় কাটাতে আসে, এখানে আপনি রিসোর্ট ক্যাফ্‌ রেস্তোরাঁ এবং নানা ধরনের ক্রিয়াকলাপে অংশ নিতে পারেন।

মহেশখালী দীপ ঃ, কক্সবাজার শহরের কাছাকাছি একটি ছোট্ট দ্বীপ যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্দির এবং নির্জন সৈকতের জন্য বিখ্যাত।

গোলদী সংরক্ষিত বনঃ, একটি প্রাকৃতিক বনভূমি যা বন্যপ্রাণী এবং পাখির জন্য পরিচি্‌ কক্সবাজারের অন্যান্য আকর্ষণীয় স্থানগুলো হল, রামু বদ্ধবিহা্‌ নুরুল হকপার এবং কক্সবাজারের লবণ মাঠ।, এই অঞ্চলের খাঁটি সমুদ্রের খাবা্‌ বিশেষ করে মাছ চিংড়ি কাকড়ার জন্য এটি বিখ্যাত।

, এই সমস্ত স্থান কক্সবাজারকে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যে পরিণত করেছেন সেখানে প্রতিবছর লাখো লাখো পর্যটক দেখতে আসেন।

রাজশাহী সিরাজি বা গোলাপের শহর সম্পর্কে জানুন


রাজশাহী বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী এবং সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধসহ,। যা দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত এটি সিরাজি নগর বা গোলাপের শহর হিসেবে পরিচিত, কারণ এখানে প্রচুর গোলাপ ফুল এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পাওয়া যায়।। রাজশাহী শহর ছাড়াও এর আশেপাশে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান নিম্নে আলোচনা করা হলো।

পুঠিয়া মন্দির কমপ্লেক্সঃ গুঠিয়া মন্দির কমপ্লেক্স রাজশাহীর একটি ঐতিহাসিক স্থান যা প্রাচীন হিন্দু মন্দির এবং অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থাপত্যে পূর্ণ।, এখানে রয়েছে পুঠিয়া রাজবাড়ী এবং কয়েকটি বিখ্যাত মন্দির। যেমন রাধাকৃষ্ণ মন্দির এবং শিব মন্দির এটি বাংলাদেশের অন্যতম বড় এবং সুন্দর মন্দির কমপ্লেক্স গুলির মধ্যে বিখ্যাত

চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ রাজশাহী শহরের নিকটবর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জ একটি ঐতিহাসিক স্থান, এখানে আপনি বিশাল আমবাগান,। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং আদিবাসী সংস্কৃতির অনন্য দিক দেখতে পাবেন এটি হযরত শাহ মখদুমের মাজারের জন্য পরিচিত।

বাগমারাঃ বাগমারা উপজেলার, জলাভূমি বাগান এবং কৃষি প্রধান দৃশ্য এখানকার বিশেষত্ব। এটি একটি শান্তিপূর্ণ গ্রাম, যেখানে প্রাকৃতিক মাঝে সময় কাটানো সম্ভব। এখানকার নদী এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ বিশেষভাবে পর্যটকদের আকর্ষণ করে তুলেছে।

রাজশাহী জাদুঘরঃ, রাজশাহী শহরে অবস্থিত রাজশাহী জাদুঘর বাংলাদেশের ইতিহা্‌ সংস্কৃতি এবং প্রাচীন স্থাপত্যের এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে পরিচিত।, এখানে নানা ঐতিহাসিক নিদর্শ্‌ প্রাচীন মূর্তি পেন্টিং এবং সংগ্রহশালা রয়েছে যা স্থানীয় সংস্কৃতির বিস্তারিত ধারণা দেয়।

মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভঃ, রাজশাহীতে মুক্তিযুদ্ধে ইতিহাস এবং সংগ্রামকে স্মরণ করতে বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে যার মধ্যে অন্যতম মুক্তিযুদ্ধে স্মৃতিস্তম্ভ যা শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত।

কাটাবাড়ি মসজিদঃ কাটাবাড়ি মসজিদ রাজশাহীর অন্যতম পুরনো মসজিদ। বাংলাদেশের ইসলামিক স্থাপত্যের নিদর্শন হিসেবে পরিচিত। মসজিদ কি পর্যটকদের জন্য একটি প্রাচীন সংস্কৃতির স্থান হিসেবে পরিচিত।

পদ্মা নদীঃ রাজশাহী শহরটি পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত, এবং এখানে নদী ভ্রমণ একটি জনপ্রিয় কার্যক্রম। পদ্মার সৌন্দর্য উপভোগ করতে স্থানীয় পর্যটকরা এখানকার নদী তীরবর্তী অঞ্চলে সময় কাটাতে আসেন., রাজশাহী মূলত তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের জন্য পরিচিত,. যা পর্যটকদের জন্য একটি মনোরম অভিজ্ঞতা প্রদান করে থাকে।

পাহাড় ও বান্দরবান সম্পর্কে জানুন

বান্দরবান বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ জেলা যা। পাহাড়ি অঞ্চলের জন্য বিখ্যাত এটি দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য্‌ যেখানে পাহাড় ঝর্ণা, বুনো প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং আদি উপজাতির সংস্কৃতি এবং অনন্য অভিজ্ঞতা দেয়। বান্দরবানে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান রয়েছে। যার নিম্নে আলোচনা করা হলো।

নৈসর্গিক সাঙ্গু নদীঃ সাঙ্গু নদী বান্দরবানের একটি উন্নতম আকর্ষণীয় স্থান। এটি অত্যন্ত সুন্দর এবং শান্ত পরিবেশে প্রবাহিত হয়। পর্যটকরা এখানে নৌকা ভ্রমণ এবং মাছ ধরা উপভোগ করতে পার... এটি স্থানীয় জীবনযাত্রার অংশ এবং আশেপাশের পাহাড়ি দৃশ্য দেখতে খুব ভালো লাগে।

কাজল ছোড়ি ঝর্ণাঃ কাজলছড়ি ঝর্ণা একটু জনপ্রিয় প্রাকৃতিক স্থান যা বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই ঝর্ণাটি পাহাড়ি এলাকায় গড়ে  উঠেছে এবং এর ঝরনার পানি খুবই পরিষ্কার ও শীতল। এখানকার সৌন্দর্য খুবই মনমুগ্ধকর এবং এটি একাধিক পর্যটকদের কে আকর্ষণ করে তুলেছে।

ট্যাপ মা পাহাড়ঃ বান্দরবানের টেপ মাপ পাহাড় একটি পর্যটকদের জন্য জনপ্রিয় ট্রাকিং গন্তব্য। এটি উঁচু পাহাড় থেকে পুরো বান্দরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে পারা যায়, যেখানে ট্র্যাকিং করতে অনেক সময় লাগে তবে এটি একটি শীতল এবং শান্ত পরিবেশ প্রদান করে থাকে।

রেমাক্রি ঝরনাঃ, বান্দরবানীর একটি মনোরম প্রাকৃতিক স্থান যেখানে বিস্ময়কর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঝর্ণার আওয়াজ আপনাকে মুগ্ধ করে তুলবে। রেমাক্রি ঝরনা  একটি বড় ঝরনা যা পাহাড়ের কোলে অবস্থিত এবং এখানে পৌঁছাতে কিছুটা পথ পাড়ি দিতে হয়।

শৈল প্রপাতঃ শৈলপ্রপাত বান্দরবানের একটি অন্যতম সুন্দর ঝর্ণা। এটির স্থানীয়দের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এখানে আসলে আপনি পাহাড়ে বন এবং ঝর্ণার সৌন্দর্য একসাথে উপভোগ করতে পারব...

চিম্বুক পাহাড়ঃ, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পাহাড় যা বান্দরবান শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই পাহাড়ের উচ্চতা প্রায় ৩৪৫০ ফুট ১০ ৫০ মিটার। পাহাড়ে উঠলে আপনি পুরো বান্দরবান জেলার অসাধারণ দৃশ্য দেখতে পাবেন এখানকার সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয় দৃশ্য অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর।

নদী পার্বত্য টিলাঃ। এটি বান্দরবান জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী পাহাড়ি এলাকা, এখানে আপনি নানান পাহাড়ি দৃশ্য গ্রামের জীবনযাত্রা এবং স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মিলিত হতে পারবেন।

স্রোদের গ্রামঃ বান্দরবানে বসবাসকারী শ্রো উপজাতি এক ঐতিহ্যবাহী গোষ্ঠী।, আপনি যদি ঐতিহ্য সংস্কৃতি এবং তাদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে স্রোদের গ্রাম পরিদর্শন করা উচিত। এখানে পর্যটকরা স্থানীয় জীবনধারা এবং শিল্পকলা দেখতে পায়।

বান্দরবান শহরঃ বান্দরবান শহরের। আশেপাশের এলাকাগুলো বেশ সুন্দর এবং ঐতিহ্যবাহী্‌। শহরের অ দূরে, পাহাড়ি গ্রামগুল্‌ বাজার এবং হোটেলগুলো পরিদর্শন করতে পারেন। এর আশেপাশে অনেক ছোট বড় পাহাড়ি নদী ও ঝর্ণা রয়েছে যা নান্দনিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য আদর্শ।।

বগা লেকঃ বগা লেক বান্দরবানের এক প্রাকৃতিক দৃষ্টিনন্দন স্থান। এটি একটি উচ্চতায় অবস্থিত হ্রদ যা বিশেষ করে ট্রাকিং এবং হাইকিং পছন্দ করা পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়। তবে পেছনে রয়েছে অনেক রহস্যময় এবং সাংস্কৃতিক ইতিহাস ও বন্দ্যোপাধ্যায় একটি পাহাড়ি অঞ্চল, এখানে প্রাকৃতিক অপর ূপ সৌন্দর্য রয়েছে।, পাহাড্‌ ঝর্ণা সুন্দর গ্রাম এবং উপজাতি সাংস্কৃতির এক অনন্য মেল বন্ধন এই স্থানকে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পর্যটন গন্তব্যে পরিণত করেছে।

সুন্দরী কক্সবাজারের রিসোর্ট নিয়ে কিছু কথা

রিসোর্টগুলি মূলত সমুদ্র সৈকত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং বিলাসবহুল সেবার জন্য বিখ্যাত।, এখানে অনেক সুন্দর এবং দর্শনীয় রিসোর্ট রয়েছে। যেগুলো পর্যটকদের জন্য একটি উপভোগ ও আরামদায়ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা প্রদান করে থাকে সেগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো।

লং  বিচ হোটেল এবং রিসোর্টঃ, এটি কক্সবাজারের অন্যতম জনপ্রিয় বিলাসবহুল রিসোর্ট যা সমুদ্রের তীরে অবস্থিত।, রিসোর্ট টি আধুনিক সুযোগ-সুবিধ্‌ সুইমিং পুল, প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং শেষ রুদ্ধকর সমুদ্র দৃশ্য প্রদান করে। এখানে পরিবারের সঙ্গে বা বন্ধুদের সঙ্গে ছুটি কাটানোর জন্য এটি একটি আদর্শ স্থান হিসেবে পরিচি।

পান্ডুয়া রিসোর্টঃ কক্সবাজার শহরের খুব কাছাকাছি হলেও এটি খুবই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবস্থিত। প্রাকৃতিক প্রকৃতির মধ্যে, ঘেরা এবং এখানে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা যেমন সুইমিংপু্‌ল স্পা রেস্টুরেন্ট এবং সৈকত একসাথে সময় কাটানোর সুযোগ পাওয়া যায়।

কক্সবাজার রিসোর্টঃ, এই রিসোর্টটি একটি অত্যন্ত সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ স্থা্‌ যেখানে আপনি সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। এটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং বিলাসবহুল সেবার জন্য পরিচিত, রিসোর্ট এর রুমগুলি সুন্দর এবং আধুনিক সুযোগ সুবিধার পূর্ণ যা একটি আরামদায়ক থাকার অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

ইনানী বিচ রিসোর্টঃ, ইন আনি দিস কক্সবাজার শহরের একটু বাইরে অবস্থিত এবং এখানে অসাধারণ সুন্দর সৈকত ও প্রাকৃতিক পরিবেশ রয়েছে। একটি বিলাসবহুল রিসোর্ট যেখানে আপনি শান্তিপূর্ণ সমুদ্রের তীরে বিশ্রাম নিতে পারবেন এবং এখানকার পুকুর ও সুইমিং পুলে সময় কাটাতে পারবেন।

কক্সবাজার সি প্যানেল রিসোর্টঃ টি কক্সবাজারের শিব প্রণ এলাকায় অবস্থিত, যেখানে সমুদ্রের কাছে থাকার অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। এটি হালকা সমুদ্র, ব্রিজ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা এবং অন্যান্য আর্কিটেকচার এর জন্য বিখ্যাত।

শালবন রিসোর্টঃ শালবন রিসোর্ট কক্সবাজারের একটি খুব শান্ত এবং প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত।। এটি বিশেষভাবে তাদের নিরব পরিবেশ এবং সমুদ্রের কাছাকাছি অবস্থানের জন্য জনপ্রিয় আপনি এখানে প্রাকৃতিক মাঝে সময় কাটানোর পাশাপাশি বিলাসবহুল সুবিধা ও উপভোগ করতে পারবেন।

হোটেল সি কুইনঃ হোটেল সী কুইন কক্সবাজার শহরের কেন্দ্র থেকে একটু দূরে অবস্থিত,। তবে এটি সমুদ্র সৈকতের খুব কাছাকাছি। এখানে থেকে আপনি কক্সবাজারের সুন্দর পর্যায়ে তো এবং সূর্য দেখতে পারবেন অত্যন্ত পরিষ্কার এবং আরামদাইয়ক।

নূরানী রিসোর্টঃ। এই রিসোর্টটি কক্সবাজার শহরের বাইরে একটু নিরিবিলি পরিবেশে অবস্থিত এটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সাঁতার কাটার জন্য সুইমিং পু্‌ এবং আধুনিক রুমের জন্য পরিচিত।

ওসান প্যালেস রিসোর্টঃ টি সমুদ্র সৈকতের কাছে অবস্থিত এবং পর্যটকদের জন্য একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় গন্তব্য।, এখানে আপনি সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন, এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধা যেম্‌ন সুইমিং পুল, রেস্টুরেন্্‌ এবং বিশ্রামের জন্য আরামদায়ক পরিবেশ পাবেন।

উন্নত প্যারাডাইস রিসোর্টঃ, এটি একটি শান্তিপূর্ণ এবং প্রাকৃতিক রিসোর্ট। যেখানে পরিবারের সদস্যদের জন্য বিশেষ সুবিধা রয়েছে, রিসোর্ট টি সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছ্‌ এবং এখানে থাকার জন্য শান্তি ও আরামের অনুভূতি পাবেন।, কক্সবাজারের রিসোর্টগুলি মূলত তাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিলাসিতা এবং আধুনিক সুযোগ সুবিধার জন্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে তোলে। আপনি যদি সমুদ্রের তীরে বিশ্রাম নিতে চান বা কোন বিলাস বহুল সুবিধা হয় সময় কাটাতে চান, তবে কক্সবাজারের এই রিসোর্ট গুলি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং আদর্শ গন্তব্যস্থান হিসেবে পরিচিত।

ঢাকা দর্শনের স্থানসমূহ নিয়ে আলোচনা

ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী বিভিন্ন ঐতিহাসিক,. সাংস্কৃতিক ও আধুনিক দর্শনীয় স্থান দ্বারা সমৃদ্ধ এখানে কিছু প্রধান দর্শনীয় স্থান নিম্নে দেওয়া হল.

লালবাগ কেল্লা: একটি ঐতিহাসিক দুর্গ বা মোঘল যুগের স্মৃতি বহন করে.

পাহাড়তলী মসজিদঃ মোঙ্গল আমলের একটি বিখ্যাত মসজিদ, যা মোগল স্থাপত্যের এক অমূল্য নিদর্শন।

জিন্দা পার্কঃ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ, করার জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান।

জাতীয় স্মৃতিসৌধঃ মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে নির্মিত এই স্মৃতিসৌধ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক মহান প্রতি।

আসাদগেটঃ আধুনিক ঢাকার, অন্যতম প্রাণকেন্দ্র সেখানকার ঐতিহাসিক স্থাপনা গুলো দেখার মত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ঃ, বাংলাদেশের প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেখানকার ঐতিহাসিক স্থাপনা গুলো খুবই দেখার মত।

স্বাধীনতা চত্বরঃ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণার সাথে সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।

নৌকা ভ্রমণঃ ধলেশ্বরী নদী বা বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌকা ভ্রমণ করে ঢাকার প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখা যায়।

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কঃ একটি জীব জন্তু সংরক্ষণ কেন্দ্র যা ঢাকার বাইরে অবস্থিত।

আব্দুল্লাহ ভিউ পয়েন্টঃ সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য একটি জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান। এছাড়া ঢাকা শহরের আরো অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা, আছ্‌ মিউজিয়াম, গ্যালারি বাজার এবং পার্ক রয়েছে যা খুবই দর্শনীয় স্থান।

পদ্মা নদী দর্শনীয় স্থানসমূহ নিয়ে আলোচনা

। পদ্মা নদী বাংলাদেশের অন্যতম গৃহৎ এবং ঐতিহাসিক নদী। এটি নানা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং দর্শনের স্থান নিয়ে সমৃদ্ধ পদ্মা নদীর তীরবর্তী কিছু দর্শনীয় স্থান নিম্নে দেওয়া ...

মাঝির কুড়িঃ, পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থা্‌ন, যেখানে প্রচুর মানুষ আসে নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে এবং নৌকা ভ্রমণ করতে।

গড়াই নদী ও পদ্মার মিলনস্থলঃ পদ্মা ও গড়াই নদীর মিলনস্থল একটি শান্তিপূর্ণ জায়গা। যেখানে আপনি নদীর সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবেন।

শরীয়তপুরের পদ্মা চরঃ এই অঞ্চল টি বিশেষভাবে নদী পারাপার এবং প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য পরিচিত। পদ্মা নদী এখানে অনেক বড় একটি চর গঠন করেছে।

চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনা মোহনাঃ চাঁদপুর শহরের কাছে পদ্মা এবং মেঘনা নদীর মিলনস্থলে অবস্থিত একটি সুন্দর জায়গা। এখানকার সাগর সমুদ্রের দৃশ্য অত্যন্ত মনমুগ্ধকর।

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গাঃ ফরিদপুরের এই জায়গাটি পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত, যেখানে আপনি নদীর কল ঘেঁষে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

শিবচর মাদারীপুরঃ, পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত একটি শান্তিপূর্ণ স্থান সেখানে আপনি নদী ভ্রমণ এবং পরিবেশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

পদ্মা সেতুঃ দেশের অন্যতম বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মা সেতু এখন একটি দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে। এই সেতু পদ্মা নদীকে দুটি ভাগে বিভক্ত করেছে এবং এটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে পরিচিত।

মুন্সীগঞ্জের পদ্মা নদীঃ মুন্সিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থান যেমন সিরাজ দিখান, শ্রীনগর ইত্যাদি পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত, সেখানে আপনি নদীর সৌন্দর্য এবং স্থানীয় জীব বৈচিত্র দেখতে পারবেন। এছাড়া পদ্মা নদী ও তার তীরবর্তী এলাকা পুরোপুরি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অনন্য জায়গা যেখানে নদী ভ্রমণ, মাছ ধরা, এবং স্থানীয় সাংস্কৃতিক খোঁজ পাওয়া যায়।

পরিশেষে আমি যে সাতটি দর্শনীয় স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ২০২৫ সম্পর্কে লিখেছি আপনারা অবশ্যই এই অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন বলে আশা করি। আপনারা এই দর্শনীয় জায়গায় ঘুরে আসবেন আমার এই লেখার সঙ্গে ভ্রমণের সম্পর্কের কথা যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই আমাকে লাই্‌ কমেন্ট করবেন। আর পরিচিতি দের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিবেন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url