শরীরের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া ১০টি উপায়



 শরীরের কালো দাগ দূর করতে সহায়তা করে টমেটোর রস যা এতে প্রাকৃতিক ব্লিসিং উপাদান রয়েছে। বার্ধক্যের কারণে অনেক সময় ত্বকে কালো দাগ দেখা দেয়। এগুলো হাইপার পিগমেন্টেশন নামে পরিচিত

শরীরের-কালো- দাগ-দূর-করার-ঘরোয়া-১০টি -উপায়

কিছু ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে এই দাগগুলো দূর করা যেতে পারে। এইসব উপাদান নিয়মিত ব্যবহারে ইতিবাচক ফলাফল দিবে। ধীরে ধীরে কালো দাগ কমে যাবে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল।

পোস্ট সূচিপত্রঃ শরীরের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া ১০ টি উপায়


লেবুর রস দিয়ে কালো দাগ দূর করার উপায়

লেবুর রস দিয়ে কালো দাগ দূর করার উপায় খুবই সহজ এবং কার্যকর। নিচে এই দশটি পদ্ধতি দেওয়া হল।

লেবুর রস দিয়ে ঘরোয়া উপায়ঃ
উপকরণঃ একটা তাজা লেবু
তুলার বল ছোট বা বড় কাপড়
ইচ্ছা করলে একটু মধু বা চিনি

পদ্ধতিঃ লেবু কেটে রস বের করুন। তাজা লেবু কেটে তার রস একটি ছোট পাত্রে নিন। তুলা বা আঙ্গুল দিয়ে রস লাগ... কালো দাগের উপর লেবুর রস আলতো করে লাগিয়ে দিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন। রস শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এভাবে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে ধীরে ধীরে দাগ হালকা হতে শুরু করবে।

শুষ্ক ত্বক হলে করণীয়ঃ । লেবুর রস সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। এটি ত্বককে শুষ্ক হতে দিবে না। লেবুর রস বানানোর পর সরাসরি রোধে যাওয়া এড়িয়ে চলুন। এতে ত্বক আরো কালো হয়ে যেতে পারে। সংবেদনশীল ত্বকে লেবু জ্বালা করতে পারে। তাই প্রয়োজন অল্প জায়গায় আগের টেস্ট করে নিন। চাইলে লেবুর রস দিয়ে ঘরে তৈরি আরো  চেষ্টা করতে পারেন।

আলুর রস দিয়ে ঘরোয়া উপায়

আলুর রস একটি প্রাকৃতিক blessing এজেন্ট যা ত্বকের কালো দাগ, রোদে পোড়া দা্‌ ডার্ক সার্কেল, এবং ব্রণের দাগ হালকা করতে খুবই কার্যকরী উপায়। নিচে আলুর রস দিয়ে কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় দেওয়া হলো।

আলুর রস দিয়ে কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতিঃ
উপকরণঃ একটি মাঝারি সাইজের আলু
চুলার বল বা কটন প্যাড
একটা চামচ লেবুর রস বা মধু

পদ্ধতিঃ আলু ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে গ্রেড করুন। এরপর কাপড় বা ছাঁকনি দিয়ে রস বের করে নিন। তুলা ডুবিয়ে দাগে লাগান।. তুলা বা আঙ্গুল দিয়ে আলুর রস দাগের উপর লাগিয়ে নিন। ১৫ -২০ মিনিট রেখে দিন ।এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন বা সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চার দিন ব্যবহার করুন।

 নিয়মিত ব্যবহারে দাগ হালকা হতে শুরু করবে। আলু + লেবুর রস সমপরিমাণ আলুর রস ও লেবুর রস মিশিয়ে লাগান। ত্বক ময়শ্চারাইজ থাকবে। এরপর আলু স্লাইস করে পাতলা করে কেটে সরাসরি দাগের উপর বসে নিতে পারেন। এইভাবে প্রাকৃতিক পদ্ধতি বলে একটু সময় নেই, তবে নিয়মিত ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। 

হলুদের প্যাক বানিয়ে মুখে লাগানো

হলুদের ত্বকের জন্য বহু প্রাচীন কার্যকরী উপাদান।, এটি অ্যান্টিসেপটিক এন্টি ইনফ্লামেটরি এবং ত্বক উজ্জ্বলকারী উপাদান হিসেবে কাজ করে থাকে নিম্নে হলুদের প্যাক বানানোর পদ্ধতি দেওয়া হল।

উপকরণঃ এক চাচা চামচ বেসন
ঠিক কাঁচা হলুদ অথবা এক থেকে দুই চার চামচ হলুদ গুঁড়ো
একটা চামচ দুধ বা দই
এক চা চামচ মধু শুষ্ক ত্বকের জন্য

প্রস্তুত প্রণালীঃ একটি পাত্রে সব উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করে নিন। মুখ ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিন। ব্রাশ বা আঙ্গুল দিয়ে প্যাকটি পুরো মুখে লাগান। চোখ বা ঠোটের চারপাশে এড়িয়ে চল... ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন, যতক্ষণ না শুকিয়ে আসে। ধুয়ে ফেলুন।

যদি আপনি প্রথমবার ব্যবহার করেন, তাহলে হাতের ছোট জায়গায় আগে টেস্ট করে নিন। হলুদ বেশি ব্যবহার করলে ত্বক হলদে দাগ থাকতে পারে, যা ধুয়ে গেলে কেটে যাবে। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করা যাবে।, নিয়মিত ব্যবহার করলে মুখের দাগ ব্রণ ও ত্বকের রুক্ষতা ধুয়ে দূর হয়ে উজ্জ্বল ভাব আসবে। 

বেসনের ফেস প্যাক বানিয়ে মুখে লাগানো

বেসনের ফেসপ্যাক খুবই কার্যকর একটি প্রাকৃতিক উপায় ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য। নিচে একটি সহজ এবং কার্যকর বেসনের ফেসপ্যাক তৈরির পদ্ধতি গুলো দেওয়া হল।

বেসনের ফেসপ্যাক নরমাল ত্বকের জন্যঃ
উপকরণঃ বেসন ২ টেবিল চামচ
কাঁচা দুধ দই এক টেবিল চামচ
লেবুর রস কয়েক ফোঁটা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ার জন্য
মধু এক চা চামচ টপ ময়শ্চারাইজ করতে

তৈরি ও ব্যবহারের নিয়মঃ সব অপকর্ম মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন।পরিস্কার মুখে প্যাক্টি লাগান.১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন যতক্ষন না এটি সুখিয়ে যায়।ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।শুস্ক ত্বকের জন্য দুধ বা দই এর পরিমান একটু বাড়িয়ে নিন এবং লেবুর রস বাদ দিতে পারেন।

এলোভেরা জেল দিয়ে মুখে ব্যবহার করা

এলোভেরা জেল ত্বকের জন্য খুবই উপকারী একটি টপ ঠান্ডা রাখে্‌ ব্রণ কমায়, দাগ হালকা করে আর ত্বক মোশচারাইড করে। নিচে কিছু সহজ উপায় অ্যালোভেরার জেল মুখে ব্যবহার নিয়ম দেওয়া হল।

শুধু অ্যালোভেরা জেলঃ ব্যবহারঃ রাতে ঘুমানোর আগে মুখ  ধুয়ে একটু পানি না মুছে  সরাসরি ত্বকে এলোভেরা জেল লাগান। এর উপকারিতা ত হাইড্রেট থাকবে, ব্রণ কমব্‌ টানটানো উজ্জ্বলতা দেখাবে অ্যালোভেরা+ বেসন ফেসপ্যাকঃ বেসন ১ টেবিল চামচ এলোভেরা জেল ১ টেবিল চামচ লেবুর রস কয়েক ফোঁটা সবমিলিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগান। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে অর্থাৎ শুকিয়ে এলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

এলোভেরা+ হলুদ ফেসপ্যাকঃ দাগ ও ব্রণ কমাতেঃ
 উপকরণঃ এলোভেরা জেল ১ চামচ
মুলতানি মাটি ১ চামচ
১ চিমটি হলুদ
এইসব মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।


টমেটোর রস ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে লাগানো

টমেটো রস ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে, ট্যান দূর করতে, আর ব্রণ কমাতে খুব ভালো কাজ করে। এখানে কিছু জনপ্রিয় টমেটোর রস ফেসপ্যাকের রেসিপি নিম্নে দেওয়া হল।

শুধু টমেটো রস ব্যবহারঃ টমেটো কেটে রস বের করে তুলা আঙ্গুল দিয়ে মুখে লাগান। ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এর উপকারিতা ্ট্যান দূর করে, রং উজ্জ্বল করে । পরশ টাইপ করে।

টমেটো রস+ বেসন ফেস প্যাক উপকরণঃ 
টমেটো রস ১ টেবিল চামচ,
বেসন ১ টেবিল চামচ
 লেবুর রস ১চা চামচ
 এইগুলো সব মিলিয়ে সব উপকরণ মিশে মুখে লাগান। এবং ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এর উপকারিতা ত্বকের দাগ ও কেন স্কিনটন ইভেন হয়।

টমেটো রস+ মধু শুষ্ক ত্বকের জন্য উপকরণঃ 
টমেটো রস ১ চামচ
মধু ১ চামচ
এই দুটি জিনিস ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে লাগান। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এর উপকারিতা হবে, দাগ হালকা হয়ে যাবে।

দইয়ের ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে লাগানো  

দই খুবই চমৎকার একটি প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের যত্নে এতে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে, যা ত্বক   এক্সফোলিয়েট করে । দাগ হালকা করে এবং স্কিন টোন উজ্জ্বল করে। এখানে কয়েকটি কার্যকরী দই এর ফেসপ্যাক নিম্নে দেওয়া হল।

শুধু দই ব্যবহারঃ টেবিল চামচ টক দই সরাসরি মুখে লাগান
15 মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন
এর উপকারিতা ত্বক হাইড্রেট নরম এবং উজ্জ্বল করে।

দই + বেসন ফেসপ্যাক উপকরণঃ
বেসন এক টেবিল চামচ
দই এক টেবিল চামচ
লেবুর রস কয়েক ফোটা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য
এই কয়েকটি জিনিস ব্যবহার সব অপকর্ম মিশিয়ে মুখে লাগাবেন। 15 থেকে 20 মিনিট পর প্লেন পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।, এর উপকারিত্‌ ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে, ব্রণ কমায্‌ স্কিন ক্লিন করে এবং উজ্জ্বলতা দেখায়।

দই+ মধু+ হলুদ দাগ দূর করার জন্য উপকরণঃ
দই ১ চামচ
মধু ১ চামচ
১ চিমটি হলুদ
এই কয়েকটি জিনিস মিশিয়ে রাতে  মুখে ব্যবহার করুন। সকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এর উপকারিতা, ত্বক উজ্জ্বল করে, দাগ হালকা হয়। এই ফেসপ্যাক ব্রণের জন্য খুবই উপকারী।

নারিকেল তেল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করা

নারকেল তেল কোকোনাট অয়েল ত্বক পরিষ্কার করার জন্য খুবই উপকারী, বিশেষ করে শুষ্ক ও সেন্সিটিভ ত্বকের জন্য। এতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন টি ইনফ্লামেটরি গুণ আছে, যা ব্রণ ও ইনফেকশন থেকেও তাকে রক্ষা করে।

নারকেল তেল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পদ্ধতি নিম্নে আলোচনা করা হলো।

শুধু নারকেল তেল দিয়ে ক্লিনজিং হাতের তালুতে সামান্য নারকেল তেল নিয়ে গরম করে নাও ঘষে ঘষে। মুখে আলতো করে এক থেকে দুই মিনিট মালিশ কর মেকআপ বা ময়লা ভাঙবে। নরম তোয়ালেড গরম পানি দিয়ে ভিজিয়ে চেপে মুখ মুছে ফেলো। চাইলে হালকা ফেসওয়াস দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারো।

উপকারিতাঃ মেকআপ, ধুলোবালি ভালোভাবে পরিষ্কার হয়। সব নরম ও মুসলিম হয়। প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও কাজ করে।

পদ্ধতি দুইঃ নারকেল তেল বা চিনি স্ক্রাফ এক্সফলিয়েট করার জন্য। ১ চা চামচ নারকেল তেল+ ১ চামচ চিনি মিশিয়ে  মুখে হালকা স্ক্রাব করো। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলো এবং এর উপকারিতা দূর হয়, স্কিন সফট ও গ্লোয়িং হয়। যদি ত্বক খুব ব্রন  প্রবন হয়, তাহলে নারকেল তেল আগে ছোট করে টেস্ট করে নেওয়া ভালো কখনো কখনো এটি ত্বক ব্লগ করে ব্রন  বাড়াতে পারে।

মধু ও লেবুর মিশ্রণ দিয়ে ফেসপ্যাক বানানো

মধু ও লেবুর মিশ্রণ এটি দুর্দান্ত প্রাকৃতিক ফেসটেক যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, দাগ হালকা করে এবং ব্রণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। নিচে এই ফেসপ্যাক তৈরির পদ্ধতি দেওয়া হল।

মধু ও লেবুর ফেসপ্যাক এর উপকরণঃ
এর মধু এক টেবিল চামচ
লেবুর রস এক চা চামচ

প্রস্তুত প্রণালী এবং ব্যবহারঃ দুটি উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নাও। পরিষ্কার মুখে তুলো বা আঙ্গুল দিয়ে লাগাও। ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করো শুখিয়ে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা কর।. শেষে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলো।

উপকারিতাঃ মধু ত্বককে মশ্চারাইজ করে, ব্যাকটেরিয়া দূর করে । লেবু ত্বকের দাগ হালকা করে, ওয়েল কন্ট্রোল করে। একসাথে স্ক্রীন টোন ইভেন্ট করে এবং ন্যাচারাল গ্লো নিয়ে আসে। যদি সেনসিটিভ হয়, তাহলে লেবুর পরিমাণ কম রাখো বা একদিন অন্তর অন্তর ব্যবহার কর।, মুখে লাগানো আগে হাতের উপর টেস্ট করে নাও, এলার্জি হলে বাদ দাও। 

ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে মুখে লাগানো

ভিটামিন ই ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী, কারণ এটি ত্বককে মশ্চারাইড কর্‌ ফেল রিজেনারেশন বাড়ায়, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। অনেকেই ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে খাওয়ার পাশাপাশি তকে লাগাতেও ব্যবহার করেন। তবে এটি ব্যবহারের আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা অবশ্যই উচ... সেগুলো নিম্নে দেওয়া হলো।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে খেয়ে লাগানোর পদ্ধতি সমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলো।

উপকারিতাঃ
ভিটামিন ই ত্বক থেকে শুরু করে সারা অঞ্চলে বিভিন্ন প্রকারিতা নিয়ে কাজ করে। এটি ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্টি দেয়, কোষের পুনর্গঠন ঘটায্‌ এবং ত্বকে  আর্দ্র রাখে।

ব্যবহারঃ একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিনে একবার খেতে পারেন, তবে কোন সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার আগে ডাক্তার বা কুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই উচিত।

মুখে লাগানো উপকরণঃ একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল খুলে তেল বের করে নিতে হবে। এক থেকে দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল। যদি ত্বক শুষ্ক থাকে।

 ব্যবহার ঃ প্রথমে আপনার হাত ধুয়ে নিন। ভিটামিন ই ক্যাপসুলটি ফেটে তেলটি বের করে নিন। তাতে অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল মিশিয়ে মুখে লাগান। এবং ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। 

উপকারিতাঃ ত্বকের শুষ্কতা কমায়, ত্বক মোলায়েম হয়। রিংকেল এবং বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের দাগ, দাহ কমায় এবং সেনটেনের প্রভাব দূর করতে সাহায্য করে। এবং ব্রণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। 

সতর্কতাঃ যদি বেশি পরিমাণে ব্যবহার না করা ভিটামিন ই এর অতিরিক্ত ব্যবহার ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে, তাই ব্যবহার সীমিত রাখতে হবে। এবং এলার্জি টেস্ট করে যদি ত্বক সেন্সিটিভ হয়, তাহলে প্রথমে আঙ্গুলের টেস্ট করে ফেলুন যেকোনো এলার্জি বা প্রতিক্রিয়া তো হচ্ছে কিনা।


পরিশেষে আমি যে দশটি ফেসিয়ালের  কথা লিখেছি, আপনারা অবশ্যই এভাবে ফেসিয়াল করার চেষ্টা করবেন ,এই ফেসিয়ালের কারনে আপ্দিনাদের মুখ অনেক উজ্জলতা নিয়া আসবে। আপনাদের কারো মুখে এলার্জি থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ফেসিয়াল করবেন.। যদি আপনাদের কাছে আমার এই লেখা ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাকে লাইক কমেন্ট করবেন এবং পরিচিতদের মাঝে ছড়িয়ে দিবেন.।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url