কাঁচা আমের রেসিপি জিভে জল আসার মত ১০টি টিপস


কাঁচা আমের রয়েছে ভিটামিন ই যাতে শ্বেত। রক্তকণিকার কার্যকারিতা বাড়ায়। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। কাঁচা আমের থাকে বিটা ক্যারোটিন হৃদপিন্ডের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

কাঁচা-আমের-রেসিপি-জিভে-জল-আসার-মত-১০টি-টিপস

এমাইলেস নামক পাঁচক এনজাইম কাঁচা আমের থাকায় হজমে সহায়ক কিছু কিছু পুষ্টিবিদরা বলেন কাঁচা আম ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। অন্যান্য ফলের মতো মিষ্টির নাম হওয়ায় এতে  যারা ডায়েট করছেন বা ডায়াবেটিস রোগী তারাও খেতে পারবেন।


পোস্ট সূচিপত্রঃ কাঁচা আমের রেসিপির ১০টি টিপস


কাঁচা আমের ভর্তা তৈরির প্রক্রিয়াকরন

কাঁচা আমের ভর্তা একটি খুবই জনপ্রিয় এবং মুখরোচক খাবার। এটি সাধারণত ভাতের সাথে খাওয়া যায়। এর নিচে কাঁচা আমের ভর্তা তৈরীর প্রক্রিয়াকরণ দেওয়া হলো।

উপকরণঃ
কাঁচা আম ১ -২ টা মাঝারি আকারের

শুকনা মরিচ ২-৩টি ( রোস্ট করা )

রসুন ২-৩ কুয়া (ভাজা)

সরিষার তেল ১-২ টেবিল চামচ

লবণ স্বাদ অনুযায়ী

ধনেপাতা ইচ্ছা অনুযায়ী (সাজানোর জন্য)

প্রক্রিয়াকরণঃ আম সিদ্ধ করাঃ কাঁচা আম ভালোভাবে ধুয়ে টুকরো করে নিন চাইলে খোসা ছাড়িয়ে নিতে পারেন। এরপর একটু পানি দিয়ে সিদ্ধ করুন যতক্ষণ না নরম হয়ে যায়।

ছাঁকানো  ও সিদ্ধ করাঃ আম সিদ্ধ হয়ে গেলে পানি ঝরিয়ে ঠান্ডা করতে দিন।

তেল মেশানোঃ এবার সরিষার তেল মিশিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিন। ইচ্ছা হলে একটু কাঁচা পেঁয়াজ কুচিও এর সঙ্গে মিশাতে পারেন।

পরিবেশনঃ ওপরে ধনেপাতা ছিটিয়ে গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করতে পারেন । ইচ্ছে করলে সরিষা বাটা, মরি চ বা কাঁচা পেঁয়াজ দিও একটু ভিন্ন স্বাদের আমের ভর্তা তৈরি করা যায়। চাইলে ওই সব এর সঙ্গে সংযুক্ত করেও ভর্তা করতে পারেন।

কাঁচা আমের আমসত্ত তৈরি করার নিয়ম

কাঁচা আম দিয়ে আমসত্ত্ব যাকে অনেকে আংচুর বা আম পাঁপড় ও বলে থাকেন। এভাবেই তৈরি করা যায় এক বিশেষ উপায়। যদিও পাকা আম দিয়ে তৈরি আমসত্ত্ব বেশি পরিচিত, কাঁচা আম দিয়েও টক মিষ্টি স্বাদের এক ধরনের বিশেষ আমসত্ত্ব বানানো যায়। নিচে কাঁচা আম দিয়ে আমসত্ত্ব তৈরির প্রক্রিয়াকরণ দেওয়া হল।

উপকরণঃ
কাঁচা আম এক কেজি

চিনি ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম (স্বাদ অনুযায়ী কম অথবা বেশি)

লবণ ১ চা চামচ 

শুকনা মরিচ গুড়া ১ - ২ চা চামচ

বিট লবণ ১- ২ চা চামচ

ঘি পাতলা গ্রিস করার জন্য

প্রস্তুত প্রক্রিয়াঃ আম সিদ্ধ করাঃ কাঁচা আম ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে নিন। এরপর অল্প পানিতে সিদ্ধ করুন যতক্ষণ না নরম হয়ে আসছে।

মাখানো বা ব্লেন্ড করাঃ সিদ্ধ আম ঠান্ডা হলে হাতে চটকে বা ব্লেন্ডারে  দিয়ে মিহি পেস্ট তৈরি করুন।

চিনি ও মসলা মেশানোঃ, এই মিশ্রণটি চিনি, লবণ , বিট  লবণ ও শুকনা মরিচ গুঁড়া যদি চান তাহলে মিশিয়ে নিন।

চুলাই জাল দেওয়াঃ মিশ্রণটি একটি ননস্টিক প্যানে ঢেলে মাঝারি আঁচে নেড়ে নেড়ে রান্না করুন। একটানা নাড়তে হবে যেন লেগে না যায়। ঘন হয়ে গেলে এবং প্যান্ট ছেড়ে দিলে বুঝবেন হয়ে গেছে।

ছাঁচে ঢালাঃ একটা থালায় বা ট্রেতে হালকা করে ঘি মাখিয়ে সেই গরম মিশ্রণটি ঢেলে দিন। সমানভাবে ছড়িয়ে পাতলা লেয়ার করে নিন।

রোদে শুকানোঃ রোদে দুই থেকে তিন দিন শুকাতে দিন। মাঝে মাঝে উল্টে দিন যেন দুই পাশ ভালোভাবে শুকায়। 

কাটা ও সংরক্ষণঃ শুকিয়ে গেলে পছন্দ মতো আকারে কেটে এয়ার টাইট বক্সে সংরক্ষণ করুন। চাইলে আপনি এই রেসিপিতে কাঁচা আমের সাথে পাকা আমো মিশিয়ে নিতে পারেন টক মিষ্টির ভারসাম্যের জন্য এই রেসিপিটি অনেক মজাদার।

কাঁচা আমের কাসুন্দি বানানো

কাঁচা আমের কাসুন্দি অথবা আম কা সন্ধি বাঙালির ঘরানা এক দারুন ঠকানো ও মজাদার আচার জাতীয় খাবার। এটি ভাজাভুজি, ডাল ভাত কিংবা স্নাক্স এর সাথে খেতে অসাধারণ লাগে।

উপকরণঃ কাঁচা আম ৫০০ গ্রাম

সরিষা সাপ বা কালো মেশানো চার টেবিল চামচ

৩-৪ টি

কাঁচামরিচ ৪-৫ টি ( ঝাল অনুযায়ী)

রসুন ৬ - ৭ কুয়া

হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ

লবণ স্বাদমতো

চিনি ১ টেবিল চামচ

সরিষার তেল ১-২ কাপ

ভিনেগার বা সাদা সিরকা ২ টেবিল চামচ (সংরক্ষণের জন্য)

মেথি ও কালোজিরা ১ - ২ চা চামচ( ফোরনের জন্য)

প্রস্তুত প্রণালীঃ আম প্রস্তুতিঃ কাঁচা আম ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে নিন।

সরিষা বাটাঃ সাদা ও কালো সরিষা ১৫ থেকে ২০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর শুকনা মরিচ, রসুন ও একটু লবণ দিয়ে মিহি করে বেটে নিন বা ব্লেন্ড করুন।

আমব্লেন্ড করাঃ টুকরো করা কাঁচা আম ও কাঁচা মরিচ একসাথে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন, কিন্তু একটু দানা দানা থাকলে ভালো হয়।

সব একত্রে মেশানোঃ, বাটানো সরিষা আমের মিশ্রণ হলু্‌ চিনি ও লবণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার সিরকা ও সরিষার তেল দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিন।

ফোড়নঃ একটা পেনে অল্প তেলে মেছি ও কালোজিরা ফোড়ন দিয়ে তা কাসুন্দিতে মিশিয়ে দিন।

পাত্রে স্তরে সংরক্ষণঃ কাচের পরিষ্কার বোতলে বা বয়ামে ভোরে রোদে ২ থেকে ৩ দিন রেখে দিন। মাঝে মাঝে নাড়াচাড়া করুন চাইলে সামান্য জিরা ও ধনে গুড়া ও দিতে পারেন স্বাদ বাড়ানোর জন্য ।ভালোভাবে সংরক্ষণ করলে দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত ঠিক থাকে।

কাঁচা আমের জিলাপি তৈরির প্রক্রিয়াকরণ

কাঁচা আম দিয়ে জিলাপি এটা একদম ইউনিক এবং ভিন্ন ধর্মী আইটেম। সাধারণ জিলাপির সাথে টক মিষ্টি কাঁচা আমের ফ্লেভার যোগ করলে এক নতুন স্বাদ পাওয়া যায়, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালের জন্য দারুন। নিচে কাঁচা আমের জিলাপি সম্পর্কে প্রক্রিয়াকরণ দেওয়া হল।

উপকরণ
ব্যাটারের জন্যঃ
ময়দা এক কাপ
কাঁচা আমের পিউরি 1 থেকে 2 কাপ
বেকিং পাউডার ১ থেকে ২ চা চামচ
টক দই 2 টেবিল চামচ
কর্নফ্লাওয়ার 1 টেবিল চামচ( ক্রিস্পি করার জন্য)
লেবুর রস এক চা চামচ
সামান্য হলুদ রং
পানি প্রয়োজন মত
তেল ভাজার জন্য

চিনি শিরার জন্যঃ 
চিনি এক কাপ
পানি এক থেকে দুই কাপ
লেবুর রস এক চা চামচ
এলাচ ১ থেকে ২ টি
কাঁচা আমের কুচি অথবা পিউরি 2 টেবিল চামচ শাক বাড়াতে

প্রস্তুত প্রক্রিয়াকরণ বাটার তৈরিঃ একটা পেটপাত্রে ময়দা, কনফ্লাওয়া্‌ বেকিং পাউডার, টক দ্‌ কাঁচা আমের পিউরি, লেবুর রস এবং সামান্য রং মিশিয়ে নিন। পানির পরিমাণ বুঝে ব্যাটারি তৈরি করুন যেন ঘন হয়।

ফার্মেন্টেশনঃ ব্যাটার ঢেকে রেখে দিন পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা গরম আবহাওয়ায়। যদি, সময় না থাকে অন্তত এক থেকে দুই ঘন্টা বিশ্রাম নিন।

চিনি সিরা তৈরিঃ, পেনে চিনি ও পানি জাল দিন। ফুটে উঠলে কাঁচা আমের পিউরি ও এলাচ দিন।  শিরা ঘন হলে লেবুর রস দিয়ে নামিয়ে ফেলুন লেবুর রস দিলে শিরা জমে না।

 জিলাপি ভাজাঃ ব্যাটার একটা কাপড়ে ছোট্ট ছিদ্রযুক্ত বা ইস কুইজ বোতলে ভরে গরম তেলে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে জিলাপির মতো আকৃতি করুন। মাঝারি আছে সোনালী রঙ্গে ভজন।

শিরায় ডুবানোঃ ভাজা জিলাপি গরম গরম শিরায় এক থেকে দুই মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। তারপর তুলে পরিবেশন করুন। কাঁচা আমের ফ্লেভার আরো বাড়াতে চাইলে শিরায় কয়েক ফোঁটা কাঁচা আমের এশেন্স ব্যবহার করতে পারেন চাইলে একটু চাট মসলা ছিটিয়ে পরিবেশন করতে পারেন চমৎকার টক ঝাল মিষ্টি ফিউশন হবে।

কাঁচা আমের ঝুরি আচার

কাঁচা আমের ঝুরি আচার একটি দারুন সুস্বাদু, ঝাঁজালো ও দীর্ঘদিন সংরক্ষণযোগ্য এই আচার। এটি খেতে খুবই মজাদার, আর বিশেষ করে গরম ভাত বা খিচুড়ির সঙ্গে তুলনায় করা যায় না। নিম্নে কাঁচা আমের ঝুড়ি আচার তৈরির প্রক্রিয়া দেওয়া হলঃ

উপকরণঃ

কাঁচা আম ১ কেজি (খোসা সহ ঝুরি করা )
লবণ দুই টেবিল চামচ( বা স্বাদমতো)
চিনি ৫০০ গ্রাম ঝুরী আচারে( একটু মিষ্ঠতা  থাকে)
না শুকনা লালমরিচ আট থেকে ১০টি গুঁড়ো করা
সরিষার তেল ১ কাপ
মেথি ১ চা  চামচ
কালোজিরায় ১ চা চামচ রসুন ১০ কোয়া পাতলা করে কাটা
সরিষা গুড়া  ২ টেবিল চামচ
হিং ১ চিমটি
ভিনেগার বা সাদা সিরকা ২ টেবিল চামচ( সংরক্ষণের জন্য)

প্রস্তুত প্রক্রিয়া আম প্রস্তুতিঃ কাঁচা আম ধুয়ে শুকিয়ে খোসা ছাড়ানো ছাড়াই লম্বা করে কুচি বা ঝুড়ি করে নিন। ঝুড়ি করা আমের উপর লবণ ছিটিয়ে ১-২ ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর অতিরিক্ত পানি ঝরিয়ে নিন।

মসলা প্রস্তুতিঃ শুকনা মরিচ গুঁড়ো, সরিষা গুড়ো ও হিং একসাথে মিশিয়ে রাখুন। মেথি ও কালোজিরা হালকা ভেজে গুঁড়ো করে নিতে পারেন এতে সুগন্ধ বাড়ে। রসুন কুচি হালকা ভেজে রাখুন চাইলে কাঁচা ও দিতে পারেন।

চিনি মিশানোঃ ঝুড়ি আমি চিনি মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন যেন একটি গোলে আসে।, তারপর মসলার মিশ্রণ রসু্‌ ভিনেগার ও শুকনো মরিচ গুলো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।

তেল দেওয়া ও সংরক্ষণঃ একটি কড়াইতে সরিষার তেল গরম করে ঠান্ডা করে নিন। এই ঠান্ডা তেল আচারে ঢেলে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। মাঝে মাঝে ণেড়ে দিন। ইয়ারটাইট কাচের যারে রেখে ঠান্ডা ও শুকনোস্থানে সংরক্ষণ করলে তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে যদি এই রেসিপিটি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই নিজেরা বাসায় বানিয়ে খেতে পারেন।

কাঁচা আমের মোরব্বা বানানো

কাঁচা আমের মোরব্বা একটি মিষ্টি ও সুস্বাদু আচারের মতো খাবার যা অনেক দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। এটি সাধারণত সকালে বা খাবারের শেষে মুখ শুদ্ধি হিসেবেও খাওয়া হয়। নিচে কাঁচা আমের মোরব্বা তৈরির সহজ রেসিপি দেওয়া হলোঃ

উপকরণঃ
কাঁচা আম এক কেজি সুন্দর করে খোসা ছাড়িয়ে টিউব পাতলা স্লাইস করে কাটা
চিনি ১ কেজি আমের সমপরিমাণ
পানি দুই কাপ
এলাচ তিন থেকে চারটি
দারুচিনি দুই টুকরো
লবণ এক চা চামচ
লেবুর রস এক টেবিল চামচ শিরায় জমতে না দেওয়ার জন্য
জাফরান বা ফুড কালার এক চিমটি

প্রস্তুত প্রক্রিয়াকরণ আমের প্রস্তুতিঃ কাঁচা আম খোসা ছাড়িয়ে ইচ্ছামত আকারে কেটে নিন পাতলা স্লাইস বা কিউব করি। এবার কাটা আমি এক চা চামচ লবণ দিয়ে দুই থেকে তিন ঘন্টা রেখে দিন যাতে কিছুটা পানি ছেড়ে দেয়।

সিদ্ধ করাঃ আমগুলো হালকা সিদ্ধ করে নিন খুব বেশি নয়, শুধু গরম হওয়ার মতো। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।

শিরা তৈরিঃ একটি পাত্রে চিনি ও পানি ঝাল দিন। চিনি গোলে ঘনশিরা তৈরি হলে। এলাচ দারুচিনি এবং ঐচ্ছিক ফুড কালার দিন।

আম মেশানোঃ নিচের মধ্যে শিরার মধ্যে সিদ্ধ করা আম দিয়ে দিন এবং ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধীরে ধীরে জাল দিন। শেষে লেবুর রস দিয়ে নামিয়ে ফেলুন। ঠান্ডা হলে কাচের বোতলে বা যারে ভরে রাখুন দুই থেকে তিন দিন পর থেকেই খাওয়ার উপযোগী হয়, তবে এক সপ্তাহ পর সাত আরো বাড়ে। তবে সব সময় শুকনা চামচ ব্যবহার করুন। ঠান্ডা ও শুকনা স্থানে রাখুন, তাহলে তিন থেকে ছয় মাস ভালো থাকবে।

কাঁচা আমের সন্দেশ কিভাবে বানাবেন

, কাঁচা আমের সন্দেশ হচ্ছে একদম ইউনিক মজাদার এবং টক মিষ্টি স্বাদের এক দারুন মিষ্টান্ন। পাকা আম দিয়ে ছয় বেস পরিচিত, কিন্তু কাঁচা আম দিয়ে সন্দেশ বানালে একটা বিশেষ টপ ফ্লেভার যোগ হয্‌ একেবারে আলাদা ও আকর্ষণীয়।

উপকরণঃ
ছানা তাজা দুই কাপ
কাঁচা আম একটি মাঝারি পিউরি করে নেওয়া
যিনি ১-২ কাপ স্বাদ অনুযায়ী কমবেশি
দুধ ২ টেবিল চামচ প্রয়োজনমতো
১-২ চা চামচ
পেস্তা / বাদাম কাজু সাজানোর জন্য
ঘি ১ চা  চামচ  প্যান গ্রিজ  করার জন্য।

প্রস্তুত প্রক্রিয়াঃ ছানা তৈরি যদি ঘরে বানানো, এক লিটার দুধ জাল দি্‌ ফুটে উঠলে লেবুর রস বা ভিনেগার দিয়ে ছানা কেটে নিন। ছানাটা একটা পাতায় ঢেলে ঠান্ডা করে পানি ঝরিয়ে নিন। তারপর ভালোভাবে চটকে নরম করে ন...

আমের পিউরি প্রস্তুতঃ। কাঁচা আমের খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে নিন ব্লেন্ডার একটু পানি দিতে পারেন।.

সন্দেশ রান্নাঃ একটা ননস্টিক প্যানে ঘি ব্রাশ করুন।, তাতে ছানা কাঁচা আমের পিউরি ও চিনি একসাথে দিন। মাঝারি আছে নেড়ে নেড়ে রান্না করুন যতক্ষণ না মিশ্রণটা শুকিয়ে আস্তে আস্তে দলা পাকায়। হাত দিয়ে ধরেও মন্ডম তো হবে তখন নামিয়ে ফেল...

আকৃতি দেওয়াঃ ঠান্ডা হলে হাতে ঘি মেখে ছোট ছোট লাড্ডু বা মনডে চাপ দিয়ে আকৃতি দিন। ওপরে বাদাম/পেস্তা কুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। কাঁচা আম বেশি টক হলে চিনি একটু বাড়িয়ে দিতে পারেন। চাইলেই একটু পাকা আম মিশিয়ে নিলে টক মিষ্টির সুন্দর ব্যালেন্স আসে।

কাঁচা আমের রসম তৈরির নিয়ম

বা পান্তা আম বা কাঁচা আমের স্যুপ দক্ষিণ ভারতের একটি জনপ্রিয় খাবার।, টক ঝাল মসলাদার পানীয় বা পাতলা ঝোল জাতীয় খাবার। এটি গরমের দিনে ঠান্ডা করে খাওয়া হয়, আবার ভাতের সাথেও পরিবেশন করা যায়। নিম্নে কাঁচা আম দিয়ে রসন তৈরির সহজ রেসিপি দেওয়া হলোঃ

উপকরণঃ

কাঁচা আম ১টি মাঝারি (ছোলা ও সিদ্ধ করা)
পানি ৩ কাপ
টমেটো ১টি
কাঁচামরিচ ২টি
আদা ১ চা চামচ কুচি বা বাটা
আদা রসুন ৩- ৪ কোয়া বাটা বা কুচি
ধনেপাতা পরিমাণ মতো কুচানো
হলুদ গুঁড়ায় ১- ২ চা চামচ
মরিচ গুঁড়া ১-২  চা চামচ
লবণ স্বাদমতো
চিনি ১-২ চা চামচ

ফোঁড়নের জন্যঃ সরিষা এক থেকে ২ চা চামচ
শুকনো মরিচ একটি
কারি পাতা কয়েকটি যদি থাকে
ঘি বা তেল 1 টেবিল চামচ
হিং এক চিমটি

প্রস্তুত প্রক্রিয়াকরণঃ আম সিদ্ধ ও পিউরি তৈরিঃ কাঁচা আম ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে নিন। ঠান্ডা হলে  হাত-বা ব্লেন্ডারি নিয়ে পিউরি বানিয়ে নিন।

রসম রান্নাঃ, একটি প্যানে দুই কাপ পানি গরম করে তাতে আমের পিউর্‌ কুচানো আদা রসুন, কাঁচা মরিচ টমেটো হলুদ লবণ মরিচ গুড়া ও সামান্য চিনি দিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট জাল দিন পানি যেন হালকা ঝোলের মত থাকে।

ফোড়ন দেওয়াঃ একটি ছোট প্যানে ঘি অথবা তেল গরম করে তাতে সরিষা করন দিন।, তারপর শুকনা মরিচ কারি পাতা ও হিং দিয়ে দিন। এই ফোঁড়নটা রশমে দিয়ে দিন।

পরিবেশনঃ ওপর থেকে কুছানো ধনেপাতা ছিটিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন। চাইলে ঠান্ডা করে পানি হিসেবে খাওয়া যায়। যাদের কারীপাতা বা হিং নেই, তারা এগুলো বাদ দিয়েও রান্না করতে পারেন। চাইলে পেঁয়াজ কুচিও দিতে পারেন বাড়তি ফ্লেভারের জন্য।


পরিশেষে আমি যে ১০ টি কাঁচা আমের রেসিপি সম্পর্কে লিখেছি আপনারা বাড়িতে বানিয়ে দেখবেন খুব ভালো লাগবে. যদি এই লেখার মধ্যে কোন ধরনের মিসটেক হয়ে থাকে ,তাহলে আমার এই লেখার ভিতরে সবগুলো কথা যুক্ত করা আছে এই অনুযায়ী আপনারা এই রেসিপি বাসায় বানিয়ে সংরক্ষণ করে রাখবেন. আমার লেখা যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে একটি কমেন্ট লাইক দিবেন. আর পরিচিতিদের মাঝে শেয়ার করবেন.

















এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url