প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায়ে মেয়েদের গ্লো বাড়ানোর কার্যকরী টিপস
মেয়েদের শরীরের সৌন্দর্যের একটু গুরুত্বপূর্ণ অংশ গ্লো বাড়ানো.।এই লেখায় ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে প্রাকৃতিকভাবে গ্লো বাড়ানো যায় তার সহজ ও নিরাপদ কার্যকরী টিপস শেয়ার করা হয়েছে যা আপনারা সহজেই টিপস পাবেন।
ভূমিকা, নারীদের শরীরের আকর্ষণীয় একটি অঙ্গ হল বা নিতস্ব। এটি শুধুমাত্র বাহ্যিক সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনেকেই, বায়াম সার্জারি বা কেমিক্যাল পণ্যের মাধ্যমে গুলো বড় করার চেষ্টা করেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায়ে মেয়েদের গ্লো বাড়ানোর কার্যকরী টিপস
- প্রাকৃতিক ফলের ফেসপ্যাক ব্যবহার
- প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা
- নিয়মিত ঘরোয়া স্ক্রাবিং করা
- নিম পাতার রস দিয়ে ঘরোয়া উপায়
- দুধ ও মধুর মাক্স তৈরী করে মুখে লাগানো
- সপ্তাহে একদিন মুখে ভাব দিন
- ভালো ঘুম এবং মানসিক চাপ কমানো
- ভিটামিন ই সমৃদ্ধ তেল ম্যাসাজ
- ফল ও সবজির রস খাওয়া
- রৌদ্র থেকে ত্বক বাঁচানো ঘরোয়া সানস্ক্রিন
প্রাকৃতিক ফলের ফেসপ্যাক ব্যবহার
প্রাকৃতিক ফলের ফেসপ্যাক ত্বকের জন্য অনেক উপকারী হতে পারে., বিভিন্ন ফলের মধ্যে
রয়েছে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যার ত্বককে পুষ্টি দেয় এবং তা তাজা
ও উজ্জ্বল রাখে. কিছু জনপ্রিয় প্রাকৃতিক ফলের রেসিপি নিম্নে দেওয়া হল.।
পাকা কলা ফেসপ্যাকঃ
উপকরণঃ একটি পাতা কলা
প্রস্তুতিঃ কলাটি ভালোভাবে চটকে নিন এবং তা মুখে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর
ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
উপকারিতাঃ কলাই রয়েছে পটাশিয়াম এবং ভিটামিন যা ত্বক মশ্চারাইড করতে সহায়তা করে
এবং ত্বকের নরমতা বাড়ায়।
অরেঞ্জ বা কমলালেবু ফেস প্যাকঃ
উপকরণঃ একটি কমলা লেবুর রস, এবং মধু একসাথে মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর
ধুয়ে ফেলুন।
উপকারিতাঃ উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে এবং এতে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের সোদন
প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে।
পেঁপে ফেসপ্যাকঃ
উপকরণঃ এক থেকে দুই কাপ পেঁপে কাটা, একটা চামচ মধু
প্রস্তুতিঃ পেপে পেস্ট করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান।। বিশ মিনিট পর ধুয়ে
ফেলুন
উপকারিতাঃ পেঁপে ত্বকের মৃতকোষ তুলে দিতে সাহায্য করে এবংত্বককে সজীব রাখে।
আপেল ফেসপ্যাকঃ
উপকরণঃ একটি আপেল কুচানো, এক চা চামচ দই
প্রস্তুতিঃ আপেল কুচিয়ে দয়ের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর
ধুয়ে ফেলুন।
উপকারিতাঃ আপিল ত্বককে টানটান করে এবং ত্বকের বয়সের ছাপ কমাতে সহায়তা করে।
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পানি
শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য অপরিহার্য যেমনঃ
শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণঃ, পানি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
বিশেষত গরমে শারীরিক পরিশ্রমের সময়।
পাচন প্রক্রিয়াঃ, পানি পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর
করতে সাহায্য করে এবং মেটাবলিজম স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে থাকে।
কিডনি ও যকৃতের স্বাস্থ্যঃ পানি কিডনি ও যকৃতের কার্যক্রমে সাহায্য করে এবং শরীর
থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়।
ত্বকের স্বাস্থ্যঃ পর্যাপ্ত পানি পান করলে ত্বক হাইড্রেটেড থাকে, ফলে ত্বক
উজ্জ্বল এবং সুস্থ থাকে।
ওজন নিয়ন্ত্রণঃ পর্যাপ্ত পানি পান করলে ত্বক হাইড্রেট থাকে, ফলে ত্বক উজ্জ্বল
এবং সুস্থ থাকে।
শক্তি এবং সতেজতাঃ পানি শরীরের , শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরকে সতেজ
রাখে যা মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি দূর করতে সহায়ক।
পর্যাপ্ত পানি কতটুকুঃ সাধারণত প্রতিদিন ৮ গ্লাস প্রায় ২ লিটার পানি পান করার
পরামর্শ দেওয়া হয় তবে, আপনার বয়ষ শারীরিক কার্যকলাপ তাপমাত্রা এবং অন্যান্য
স্বাস্থ্যগত অবস্থা অনুযায়ী এর পরিমাণ বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে।, এছাড়া আপনি
যদি বেশি ব্যায়াম করেন বা গরম পরিবেশে থাকেন তাহলে আপনাকে আরো বেশি পানি পান
করতে হবে।
নিয়মিত ঘরোয়া স্ক্রাবিং করা
নিয়মিতদের জন্য খুবই উপকারী হতে পারে।, মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে ত্বককে
মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখে এবং টকের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত
করে। ঘরোয়া উপাদান নিয়ে স্ক্রাব তৈরীর কিছু জনপ্রির রেসিপি নিম্নে দেওয়া
হল।
চিনি এবং মধুর স্ক্রাবঃ
উপকরণঃ ২৪ চামচ চিনি, এক চা চামচ মধু।
প্রস্তুতিঃ চিনি এবং মধু মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি ত্বকে মেসেজ
করুন তিন থেকে পাঁচ মিনিট ধরে। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলু...
উপকারিতাঃ যিনি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং মধুর ত্বকে হাইড্রেট করে।
বেসনো হলুদ স্ক্রাবঃ
উপকরণঃ, 24 চামচ বেসন এক চা চামচ হলু্ এবং কিছুটা পানি
প্রস্তুতঃ। বেসন এবং হলুদ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং ত্বকে মেসেজ করুন ১৫ ৫
থেকে ১০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
উপকারিতাঃ, বেসন টপকে পরিষ্কার করে এবং হলুদ অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে ব্লক
বা অন্যান্য সমস্যা থেকে মুক্ত রাখে।
ওট স আটা স্ক্রাবঃ
উপকরণঃ এক চা চামচ ওটস এক চা চামচ মধ্ এক চা চামচ দই।
প্রস্তুতিঃ ওটস, মধু এবং দই মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এই পেজটি ত্বকে মেসেজ
করুন এবং কিছু সময় পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
উপকারিতাঃ,ওটস ত্বককে মসৃণ রাখে এবং কমল রাখে দই ত্বকে হাইড্রেট রাখে এবং
মধুর ত্বকে পুষ্টি প্রদান করে।
লেবু এবং চিনিস্ক্রাবঃ
উপকরণঃ একটা চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ চিনি
প্রস্তুতিঃ লেবুর রস এবং চিনি একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে তিন থেকে চার মিনিট মেসেজ
করুন এবং পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
উপকারিতাঃ লেবুর রসের থাকা ভিটামিন সি ত্বক উজ্জ্বল করে এবং চিনির ত্বককে মৃত কোষ
তুলে নেয়।
ঘরোয়া স্রাব ব্যবহারের উপকারিতাঃ মৃত কোষ অপসারণঃ স্ক্রাব ত্বকের মৃতকোষ ও দূষণ
দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল এবং মসৃণ রাখে।
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিঃ স্ক্রাব ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে ত্বককে প্রাণবন্ত
রাখে।
স্বাস্থ্যকর ত্বকঃ নিয়মিত, স্ক্রাব ত্বকে অক্সিজেনের প্রদাহ বাড়ায় যার ফলে
ত্বক সুস্থ এবং তরুণ থাকে।
কিছু টিপস কিছু টিপসঃ স্ক্রাব ব্যবহারের পর তাকে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা খুবই
জরুরী।
, ত্বকের ধর্ম অনুযায়ী স্ক্রাব নির্বাচন করুন যেমন শুষ্ক ত্বকের জন্যঃ আর
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য একটু শক্ত স্ক্রাব ব্যবহার করা যেতে পারে। সপ্তাহে ২ - ৩ বার
করা উচিত, তবে বেশি নয় এই প্রাকৃতিক স্ক্রাবগুলো ত্বককে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে
সাহায্য করবে।
নিম পাতার রস দিয়ে ঘরোয়া উপায়
প্রাকৃতিক উপাদান গুলোর মধ্যে নিম পাতা যুগ যুগ ধরে ভারতীয় উপমহাদেশে ঔষধি গুণে
পরিচিত। বিশেষ করে এর রস ব্যবহার করে নানা ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি কথা আমাদের দাদী
নারীদের মুখে শোনা যায়।, নিম পাতায় রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এন্টিফাঙ্গাল
এবং এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদা্ থেকে শুরু করে চুলের যত্ন এবং এনটি ইনফ্লামেটরি
উপাদান, যা ত্বকের সমস্যা থেকে শুরু করে চুলের যত্ন এবং দেহের ভেতরের বিষাক্ততা
দূর করতেও দারুণ কার্যকরী করে।
ত্বকের যত্নে নিম পাতা অসাধারণ উপকারিতা রয়েছে। ব্রণ ও ফুসকুড়ি প্রতিরোধে
কার্যকর। এলার্জি চুলকানি প্রশমনে সহায়ক। ত্বকের সংক্রমণ বা ফাংগাল ইনফেকশন
নিরাময় করে। টপকে ভিতর থেকে পরিষ্কার উজ্জ্বল করে তোলে। দাগ, দাউদ ও একজিমার মত
সমস্যা হ্রাস করে।
চুলের যত্নে খুশকির প্রতিরোধে দুর্দান্ত কার্যকরী করে। চুল পড়া রোধ করে ও চুলের
গোড়া মজবুত করে তোলে। এসকল্পের ইনফেকশন দূর করে। চুলে প্রাকৃতিক বৃত্তি ও
স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনে।
দাঁত ও মুখের যত্নে নখের দুর্গন্ধ দূর করে। দাঁতের ব্যথা, মারির ইনফেকশন ছাড়াই।
ক্লাব ও ক্যাভিটি প্রতিরোধে সাহায্য করে। ব্যবহারযোগ্য।
রক্ত পরিশোধন ও শরীরের ভেতরে রক্ত পরিষ্কার করে শরীর ডিটক্স করে। হজম শক্তি
বাড়াতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ইনসুলিন কার্যক্ষমতা
বাড়ায়, ইমোনিটি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
ঘরোয়া চিকিৎসায় ব্যবহার, জর ও ঠান্ডা প্রতিরোধে সাহায্য কর্ চর্মরোগ প্রাকৃতিক
ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় যা শুকাতে ও উষ দূর করতে কার্যকরী।, নিম পাতা বেটি বা রস
বের করে মুখে ও চুলে অথবা শরীরের অন্য অংশে। লাগানো যায় চাইলে খালি পেটে এক চামচ
নিম পাতার রস পান করলে উপকার পাবেন।
দুধ ও মধুর মাক্স তৈরি করে মুখে লাগানো
দুধ দুধ ও মধুর ফেস মাছ ঘরো উপায়ে উজ্জ্বল তওয়াফ করতে উপকরণ হিসেবে, দুই চা
চামচ দুধ গরম হবে ন্ এক চামচ খাটির মধু, একটি ছোট পাত্রে কাঁচা দুধ ও মধু
ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।, মিশ্রণটি যেন সামান্য ঘন হয় তা নিশ্চিত করুন।
চাইলে কয়েক ফোটা লেবুর রস বা হলুদের গোড়া মেশাতে পারেন।
ব্যবহার বিধিঃ মুখ পরিষ্কার করে শুকনো করে নিন। তৈরি করা মিশ্রণটি তোলা দিয়ে বা
আঙ্গুলে মুখে ও গলায় লাগান।। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দ... হালকা গরম পানি দিয়ে
মুখ ধুয়ে ফেলুন। শেষে একটি হালকা ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এর উপকারিতা, দুধে
ত্বক পরিষ্কার কর্ প্রাকৃতিক গ্লো এনে দেয় এবং মুখ টানটান করে।, মধু আন্টি
ব্যাকটেরিয়াল টক-মাস্টারাইড করে তোলে ও গ্রহণ কমায়।
ব্যবহারের পরামর্শঃ সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন। যাদের
তৈলাক্ত ত, ্বক তারা লেবুর রস যোগ করে ব্যবহার করতে পারেন। যাদের সংবেদনশীল তক,
তারা আগে প্যাচ টেস্ট করে নিবেন। এই ফেস মাছটা আপনার ঘরোয়া রূপচর্চা হিসাবে
দারুন কাজ করে।
সপ্তাহে একদিন মুখে ভাব দিন
সব সময় সাদামাটা, সবসময় ব্যস্্ অন্যদের খুশি রাখার চিন্তায় আপনি নিজের মুখেই
ক্লান্তির ছাপ ফেলেছেন। তাহলে এবার একটু ভাব দিন মুখে। সপ্তাহে একদিন, হ্যাঁ
মাত্র একদিন নিজেকে নিয়ে ভাবুন নিজেকে ব্লো করান আর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে
দেখু্ এই মুখটা আজ একটু স্টাইলি হোক, একটু স্মার্ট থাকুক। একটু গ্লোয়ি মুখ
থাকুক।
ভাব মানে কি জানতে হলে এখানে ভাব মানে হল্ একটু পরিপাটি থাকা, নিজের মুখে একটু
যত্ন নেওয়্ গ্লো আনার জন্য হালকা ফেস টেপ স্কিন কেয়ার করুন তাতে মন ভালো থাকে
নিজেকে আয়নার সামনে এলে উজ্জ্বল মুখ দেখতে খুবই সুন্দর লাগে।
যেমন দুধ ও মধুর ফেসপ্যাক, বেসন ও দই ও হলুদ। শসা ও গোলাপজল স্প্রে করুন।
আলো কমিয়ে হালকা মেকআপ দিয়ে ইমেজ দেন। ভাব কেন দরকার জানেন, আত্মবিশ্বাস
বাড়াতে নিজেকে ভালবাসতে মানসিক ক্লান্তি দূর করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফটোতে
ফিল্টার ছাড়াই আলো ছড়াতে।
শেষে সপ্তাহে সাত দিন বাস্তবতা, একদিন ফ্যান্টাসি আপনার মুখটাও ডিজার একটু ভাব
নেওয়া একটু কেয়ার করা একটু আলাদা গুরুত্ব দেওয়া। সুতরাং দেরি না করে স্কিন
কেয়ারে ঠিক করুন এবং কোন দিন হবে আপনার ফেস মুড ডে।
ভালো ঘুম এবং মানসিক চাপ কমানো
ভালো ঘুম এবং মানসিক চাপ কমানোর কার্যকর ঘরোয়া উপায় ঝুমের সমস্যা মানসিক চাপ
আজকের জীবনে একটি সাধারণ সমস্যা। ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে চাপ কমিয়ে শান্তভাবে
ঘুমানো যায়, জেনে নিন এই পোস্টে। আজকের দ্রুতগতির জীবনে আমাদের ঘুম ও মানসিক
শান্তির সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে উঠেছে। অফিস, পরিবা্ আর্থিক চাপ,
সম্পর্কের টানা পড়েন সবকিছু মিলিয়ে আমাদের মস্তিষ্ক যেন বিশ্রাম পায়না।
এর ফলেই ঘুম আসেনা্ মাথাব্যথা করে, মন খারাপ থাকে এবং ধীরে ধীরে তা শরীরকেও
অসুস্থ করে তোলে।
তবে আশা করা যায় হচ্ছে কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় ও জীবনযাত্রার সামান্য পরিবর্তন
আপনাকে এনে দিতে পারে। প্রশান্তি ময় ঘুম আর মানসিক প্রশান্তি। এই পোস্টে আমরা
জানবো কিভাবে আপনি প্রাকৃতিক ভাবে ঘুম ও স্টেস সমস্যার সমাধান করতে পারেন।, ওষুধ
ছাড়াই।
রাতে একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও জাগা ঘুমের নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করলে শরীর
নিজেই অভ্যস্ত হয়ে যায় এবং ঘুম সহজেই আসে। প্রতিদিন, একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার
চেষ্টা করুন এমনকি ছুটির দিনেও এই চেষ্টাটা করুন। ঘুমের আগে মোবাইল বন্ধ করুন বা
দূরে রাখুন। স্কিনের ব্লু লাইট মস্তিষ্ককে জাগিয়ে রাখে। ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৩০
থেকে ৬০ মিনিট আগে মোবাইল, টিভি ল্যাপটপ থেকে দূরে থাকুন।
ক্যাফিন ও চিনি কমানো সন্ধ্যার পর চা, কফি চকলেট, ইত্যাদিতে থাকা ক্যাফিন ঘুমে
ব্যাঘাত ঘটায়। সন্ধ্যার পর এসব এড়িয়ে চলাই ভালো। ঘুমের আগে উষ্ণদুধ বা হারবাল
চা পান করুন. তাতে গরম দুধ ক্যামো মাইল / তুলসীচা মন শান্ত করে এবং ঘুম আসতে
সাহায্য করে। মেডিটেশন বা নিঃশ্বাসের বায়ান প্রতিদিন মাত্র 5 থেকে 10 মিনিট গভীর
শ্বাস নেওয়া ছাড়ার অভ্যাস চাপ কমার ও মানসিক প্রশান্তি দেয়। যেমন, ৪ সেকেন্ড
শ্বাস নিন ৪ সেকেন্ড ধরে রাখুন ৪ সেকেন্ড ছাড়ুন, এই চক্রটি ৫ থেকে ১০ বার করুন।
নিয়মিত হালকা ব্যায়াম বা হাটা দিনে ৩০ মিনিট হাটাহাটি বা হালকা বায়াম ভুম ও
স্টেস উভয়ে সাহায্য করে। তবে ঘুমের ঠিক আগে না করাই ভালো। মন খুলে কথা বলা বা
লে... চিন্তা জমিয়ে রাখলে মনের উপর চাপ পড়ে। কাউকে বিশ্বাস করে বলা বা ডাইরি
লেখা মানসিক চাপ কমায়। লেভেন্ডার অয়েল ব্যবহার ঘ্রাণ থেরাপি এই প্রাকৃতিক রান
ঘুম এবং মানসিক প্রশান্তি দুটোতেই দারুন কাজ করে। ঘরে মোমবাতি বা ডিভিউ যারে
ব্যবহার করতে পারেন।
নিজেকে সময় দিন অন্তত সপ্তাহে একদিন নিজের জন্য সময় রাখুন, যেমন বই পড়্
পছন্দের গান শোনা, একটু ভাব নেওয়া মন হালকা হয় এবং চাপও কমে যায়। ভালো ঘুম এবং
মানসিক চাপমুক্ত জীবন একে অপরের সঙ্গে জড়িত। আপনি যদি নিয়মিতভাবে নিজের শরীর ও
মনের যত্ন নেন, তাহলেই ঘুম আসবে শান্তিতে আর মন থাকবে হালকা ও হাসি উজ্জ্বল।
ভিটামিন ই সমৃদ্ধ তেল ম্যাসাজ
ভিটামিন এ সমৃদ্ধ তেল মেসেজ করার সঠিক পদ্ধতি নিচে ধাপে ধাপে দেওয়া হল এটি
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে বলি রেখা কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বককে
হাইড্রেট রাখতে দারুন কার্যকরী হিসেবে কাজ করে।
ভিটামিন ই তেল দিয়ে মুখে মেসেজ করার সঠিক পদ্ধতিঃ যা যা লাগবে একটি ভিটামিন ই
ক্যাপসুল, বা বোতল যাক ভিটামিন ই তেল যেমন খাঁটি ভিটামিন ই তেল। অথবা হালকা গরম
পানি ফেসওয়াশ। সমূহ মুখ পরিষ্কার করুন। প্রথমে আপনার মুখ ভালো করে ফেসওয়াশ
দিয়ে ধুয়ে নিন। তারপর পরিষ্কার তোয়ালা দিয়ে মুখ শুকিয়ে নিন। এবার তেল তৈরি
করুন। একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল কার্টুন এবং এর তেল বের করুন।. চাইলে এক ফোটা অলিভ
অয়েল, নারকেল তেল বা অর্গান ওয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন ত্বকের ধর্ম অনুযায়ী।
মুখে লাগানো আঙ্গুল দিয়ে তেলটি মুখে ডট করে ছড়িয়ে দিন, গা্ কপাল থুতনি ও
নাকের পাশে লাগিয়ে ফেলুন। তবে চোখের দিকে আলতো করে ব্যবহার করুন,। বেশি চাপ
দিবেন না। গোলাকার ভাবে নিচ থেকে উপরে ম্যাসাজ করুন বিশেষ করে কপাল, গাল চিবুক ও
ঘাটের দিকে মনোযোগ দিন। শুষ্ক ত্বকের জন্য। সাধারণত রেখে দিতে পারেন তৈলাক্ত
ত্বকের জন্য ৩০- ৪০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চাইলে টিস্যু
বা তুলা দিয়ে অতিরিক্ত তেল মুছে নিতে পারেন।
সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার রাতে ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো হয় এর উপকারিতা হিসেবে
উজ্জ্বল ত্বক নিয়ম, উজ্জ্বল ত্বক নিয়ম গুলো নিয়ে আসে বলি রাখার রাস করে এন্টি
এজিং বৈশিষ্ট্য যুক্ত থাকে দাগ ও ব্রণের হাইড্রেট করে ক্ষতস্থান পুনরুদ্ধার করে
কালো দাগ কমায় সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা পায় ভিটামিন ই সূর্য রশির ক্ষতি থেকে
বাঁচায়।
ফল ও সবজির রস খাওয়া
ফল। ও সবজির রস খাওয়ার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী, নিচে এর উপকারিতা কোন
কোন রস সবচেয়ে উপকারী কখন খাওয়া উচিত এবং কিছু বাড়তি টিপস দিয়ে সাজানো হল যা
আপনি চাইলে এইভাবে খেয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
ফলও সবজি রস খাওয়া ভিতর থেকে সুস্থ ও উজ্জ্বল থাকার ঘরোয়া উপায়। উপকারিতা
উপকারিতা ও ব্যাখ্যা করলে দেখা যায় যে দেহ আর ডিক্টক্সিফাই করে রস শরীর থেকে
টক্সিন দূর করে দেয়। ত্বকের গ্লো আনে ভিটামিন ও এক্সিডেন্ট স্কিন হেলথ বাড়ায়।
হজম শক্তি বাড়ায় এনজাইম ও ফাইবার করে। ইমিউন সিস্টেম ভিটামিন সি বি এ রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ওজন কমাতে সহায়ক, কম ক্যালরি ও পুষ্টি সমৃদ্ধ হয় ওজন
নিয়ন্ত্রণে রাখে।
সেরা কিছু ফল ও সবজির রস রোজকারের জন্য গাজরের রস, চোখের জন্য ভালো ত্বকে
উজ্জ্বলতা আনে। হিমোগ্লোবিন বাড়ায়,। ত্বকে রক্তিম ভাব আনে। আপেলের রস, ইমিউন
সিস্টেম বাড়ায্ হজমে সাহায্য করে। কমলার রস, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ব্রাইট
করে। লাউ ও কুমড়ার রস, ঠান্ডা প্রভাব স্কিনে জলীয় অংশ বজায় রাখে। টমেটোর রস,
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ রক্ত পরিষ্কার করে।
রস খাওয়ার সঠিক সময় সকালে খালি পেটে খেলে উপকারিতা সবচেয়ে বেশি। একবার বেশি না
খেয়ে প্রতিদিন অল্প অল্প করে নিয়মিত পান করুন।, খাবারের সঙ্গে নয় খাবারের ৩০
মিনিট আগে বা পরে খাওয়া খুবই শরীরের জন্য উপকারী।
কিছু জরুরী টিপস রস করার পরপরই পান করুন, না হলে পুষ্টি নষ্ট হতে শুরু করে।
সংরক্ষিত বা পকেট জাদ জুস এড়িয়ে চলুন। এতে রিজার্ভেটিভ থা... চাইলে কয়েকটি রস
একসঙ্গে মিশিয়েও খেলে খেতে পারেন যেমন গাজর বিট আপেল। ডায়াবেটিস রোগীরা
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন।
পরিশেষে প্রতিদিন এক গ্লাস ফল বা সবজির রস মানেই আপনার শরীর ও ত্বকের প্রতি এক
ধরনের ভালোবাসা।, নিয়মিত খেলে আপনি পাবেন প্রাকৃতিক গ্লো সুস্থ ও উজ্জ্বল ত্বকের
অধিকারী।
রোদ্র থেকে ত্বক বাঁচানো ঘরোয়া সান ক্রিন
রোদ্রের তীব্রতা আমাদের ত্বকের উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে, ত্বক কালো হয়ে যাওয়া
রুক্ষত, দাগ এমনকি বয়সের ছাপর দেখা দেয়। দেখা দেয় এমন কি সানস্ক্রিন ব্যবহার
এখন খুবই উপকার। এবং জরুরী আপনি চাইলে ঘরে বসে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করতে
পারেন ঘরোয়া সানস্ক্রিন ব্যবহার এখন খুবই জরুরী। আপনি চাইলে ঘরে বসেই
প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করতে পারেন ধরো আর সানস্ক্রিন, যা ত্বককে সূর্যের
ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করব্ কোন কেমিক্যাল ছাড়াই করতে পারবেন।
ঘরোয়া সানস্ক্রিন তৈরী ও ব্যবহার থেকে ত্বকের প্রাকৃতিক সুরক্ষা উপাদান নারকেলি
তেল ২ টেবিল চামচ, প্রাকৃতিক এসপিএফ প্রায় ৪- ৫ ত্বক ময়শ্চারাইজ করে। জিংক
অক্সাইড পাউডার এক টেবিল চামচ সূর্যের ইউভিএ ও ইউ ভি বি রশ্মি প্রতিরোধ করে।
2 টেবিল চামচ টক ঠান্ডা রাখে ও সানবান কমায়। শিয়া বাটার বা কোকো বাটার
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, হিসেবে কাজ করে।
তৈরি করার পদ্ধতি প্রথমে একটি পরিষ্কার কাচের বাটিতে নারকেল তেল ও সিয়া বাটার
হালকা গরম করে নিন। এরপর এতে অ্যালোভেরা জেল, জিংক অক্সাইড পাউডার এবং ভিটামিন ই
তেল দিন। সব উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে একটি কাঁচের বোতলে ভরে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে
পারেন। এটি যেন ও কৃমি হবে, তাই প্রয়োজনে অল্প পরিমাণ নিয়ে ব্যবহার করুন
ব্যবহার করার নিয়ম বাইরে খাওয়ার ১৫ থেকে ২০ মিনিট আগে মুখ বলা ও উন্মুক্ত ত্বকে
লাগান। রোদে থাকলে প্রতি দুই থেকে তিন ঘন্টা পর পর আবার ব্যবহার করুন।,। উপকারিতা
সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে ইউ ভি এ ও ইউ ভি ভি রশী প্রতিরোধ করে টক হাইড্রেট
রাখে স্ক্রিন শুকিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে রাসায়নিক মুক্ত সেন্সিটিভ
স্কিনে ব্যবহারযোগ্য প্রভাব বয়সের দাগ ও বলিরেখা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবনে বাজারের কেমিক্যাল যুক্ত সানস্ক্রিন নয় বরং নিজের
হাতে তৈরি প্রাকৃতিক সানস্ক্রিনেই হতে পারে আপনার ত্বকের সবচেয়ে সেরা রক্ষা কবজ
নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনি পাবেন উজ্জ্বল কমল ও সুরক্ষিত ত্বক।
পরিশেষে, আমার এই লেখা আপনাদের কাছে কোন পদ্ধতি সবচেয়ে ভালো লেগেছে নিচে অবশ্যই
লাইক অথবা কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না আর পরিচিতদের মাঝে আমার এই লেখা ছড়িয়ে
দিবেন। আর আপনাদের কাছে আমার এই লেখার কোন পদ্ধতি বা কোন টপিক আপনাদের কাছে ভালো
লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url